শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইসরাইলকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে ‘আয়রন ডোম’?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২১, ৪:১২ পিএম

ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। ইসরাইলের নৃশংস হামলার জবাবে কয়েক দিন ধরে ফিলিস্তিন থেকে শত শত রকেট ছোড়া হচ্ছে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে। তবে এসব রকেটের অধিকাংশই ঠেকিয়ে দেয়ার দাবি করছে ইসরাইল। রকেট হামলা ঠেকানোর জন্য ইসরাইলের হাতে আছে ‘আয়রন ডোম’ নামের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা আয়রন ডোমের মাধ্যমে ৯০ শতাংশ রকেট হামলা আকাশেই ঠেকিয়ে দিয়েছে। আয়রন ডোম হচ্ছে বিশ্বের একটি অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এ ব্যবস্থা বিশেষভাবে স্বল্পপাল্লার (শর্ট রেঞ্জ) হুমকির বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। ইসরাইলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস ও ইসরাইল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ আয়রন ডোম তৈরি করেছে। আয়রন ডোম তৈরির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেও কিছু সহায়তা পেয়েছে ইসরাইল।

আয়রন ডোম তৈরির প্রেক্ষাপট ২০০৬ সালে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ। ওই যুদ্ধের সময় হিজবুল্লাহ হাজারো রকেট হামলা চালায় ইসরাইলে। হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় ইসরাইলের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হিজবুল্লাহর সঙ্গে ওই যুদ্ধের পর ইসরাইল ঘোষণা দেয়, তারা একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে যাচ্ছে। ২০১১ সালে ইসরাইল প্রথম আয়রন ডোম মোতায়েন করে। আয়রন ডোম ব্যবস্থার প্রধান দিক তিনটি। রাডার ব্যবস্থা, কন্ট্রোল ব্যবস্থা, মিসাইল ফায়ারিং ব্যবস্থা। এ তিন ব্যবস্থা মিলেই গড়ে ওঠে সুদৃঢ় প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।

ইসরাইলের দিকে ধেয়ে আসা রকেটকে চিহ্নিত ও তার গতিপথ শনাক্ত (ট্র্যাক) করে রাডার ব্যবস্থা। তারপর কন্ট্রোল ব্যবস্থা ধেয়ে আসা রকেটের সম্ভাব্য ‘হিট পয়েন্ট’ নির্ধারণ করে। ‘হিট পয়েন্ট’ নির্ধারণের পর কন্ট্রোল ব্যবস্থা মিসাইল ফায়ারিং ব্যবস্থাকে নির্দেশনা দেয়। মিসাইল ফায়ারিং ব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যায় আকাশে। আকাশে গিয়ে ধেয়ে আসা রকেটের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হয়। এতে রকেট আকাশেই ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে ইসরাইল অভিমুখে ছোড়া রকেট কোনো ক্ষয়ক্ষতি সাধন করার আগেই তা আকাশে ধ্বংস হয়ে যায়। আয়রন ডোম ব্যবস্থা দিন বা রাত সব সময় কাজ করতে সক্ষম। এ ছাড়া এ ব্যবস্থা যেকোনো আবহাওয়ায় কার্যকর।

সম্প্রতি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লে. কর্নেল জনাথন কনরিকাস স্বীকার করেন, তাদের হাতে যদি আয়রন ডোম ব্যবস্থা না থাকত, তাহলে ইসরাইলিদের ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি হতো। আয়রন ডোম ব্যবস্থা তাদের জীবন রক্ষায় কাজ করছে। তবে গাজা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আয়রন ডোমের দুর্বলতা বেরিয়ে আসছে। দেখা গেছে, আয়রন ডোমের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারছে রকেট। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরাইলি প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়ার এ ঘটনাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, আয়রন ডোমেরও সীমাবদ্ধতা আছে। সূত্র: বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Md Ifti Ahsan ১৬ মে, ২০২১, ৬:১৫ পিএম says : 0
দেখি কতদিন বাঁচতে পারিস
Total Reply(0)
Mujibur Rahman ১৬ মে, ২০২১, ৬:১৫ পিএম says : 0
এক সংবাদে আয়রন ডোম ব্যর্থ,অন্য সংবাদে ইসরায়েল রক্ষায় আয়রন ডোম!
Total Reply(0)
সাইফ আহমেদ ১৬ মে, ২০২১, ৬:১৫ পিএম says : 0
ধ্বংনের সময় যখন হবে তখন কোনো কিছুতেই আর কাজ হবে না। আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।
Total Reply(0)
জোবায়ের খাঁন ১৬ মে, ২০২১, ৬:১৬ পিএম says : 0
মুসলমানদেরও প্রযুক্তির দিক দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
Total Reply(0)
habib ১৬ মে, ২০২১, ৭:১২ পিএম says : 0
Muslim world should go together to fight with evil Israel
Total Reply(0)
Md. Altaf Hossain ১৬ মে, ২০২১, ৯:৩৬ পিএম says : 0
তোদের (ইসরাইল) ধ্বংস অনিবার্য সুশু সময়ের ব্যাপার।আল্লাহ সব কিছু দেখতেছেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন