শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিসিসি সাবেক প্যানেল মেয়র বিএনপি নেতা শহিদুল্লাহ’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাতের আঁধারে লুটপাটের অভিযোগ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২১, ৮:০৭ পিএম

বরিশাল মহানগরীর শহীদ নজরুল ইসলাম সড়কের অভিজাত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বরিশাল ফ্যাশন হাউজ ও দ্যা কিচেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গভীর রাতে তালা ভেঙ্গে লটুপাটের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম সহ অজ্ঞাত বিশ পচিঁশ জন লুটপাটের মাধ্যমে বিভিন্ন মালামাল সহ শাড়ি কাপড় এবং চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের ইলেকটনিক্স মালামাল রাতের আধারে গাড়ী ভর্তি নিয়ে গিয়েছে বলে বিসিসি’র সাবেক প্যানেল মেয়র ও বিএনপি নেতা কে.এম শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন। এঘটনায় রোববার বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ’র আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন আলহাজ্ব কে,এম শহিদুল্লাহ।

মামলার বিবরনে বাদী অভিযোগ করেন, গত বুধবার রাত ১০ থেকে ১২ টার মধ্যে তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বরিশাল ফ্যাশন হাউজ ও একই ভবনের দোতলায় দ্যা কিচেন চাইনিজ রেষ্টেুরেন্টের তালা ভেঙ্গে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। তিনি আরো অভিযোগ করেন,দীর্ঘদিন যাবত তিনি বরিশাল নগরীতে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। আসামী তৌহিদুল ইসলাম তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দখল করার চেষ্টা করে আসছিলেন। তারই জের ধরে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে আক্রোশ মূলক কার্যক্রম চালাতে থাকে।

বর্তমান করোনাকালে লক ডাউন থাকায় কর্মচারীদের ছুটি দেয়া হয়। পাশাপশি ঈদের কারণে কয়েকদিন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আসামীরা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙ্গে এই লুটপাট চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল রাতের আঁধারে নিয়ে গেছে। বিচারক অভিযোগ গ্রহন করে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দিয়েছেন।

এব্যাপারে মহানগর অর্থ বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাদী যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। যদি তিনি দলবল নিয়ে লুটপাট করে থাকেন তাহলেতো ওই এলাকার মানুষের চোখে পড়ার কথা। তিনি বলেন, অভিযোগকারী শহিদের সাথে তার ৫ বছরের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার চুক্তিনামা রয়েছে। সেই চুক্তিনামার মেয়াদ শেষ হওয়ায় আমি তাকে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ করেছি। এছাড়া তার কাছে আমি প্রতিমাসে ৮০ হাজার টাকা করে ১৪ মাসের ভাড়ার টাকা পাব। অন্যদিকে বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। শহিদুল্লাহ টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বরে দাবী করেন তৌহিদুল ইসলাম।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন