মানবতার উজ্বল প্রমাণ দিলেন ভারতের হুগলির একদল মুসলিম। তারা জাতি, ধর্ম, বর্ণের ভেদাভেদের দিকে না তাকিয়ে কাঁধে তুলে নিলেন একজন হিন্দুর লাশ। স্বধর্মের লোকজন যখন হরেন্দ্রনাথ সাঁধুখা’র মৃত্যুতে দ‚রে সরে যাচ্ছিলেন, পড়শিরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন- তখনই এ খবর পান পাশের গ্রামের মুসলিমরা। তারা পবিত্র ঈদের দিনে নিজেদের আনন্দের কথা ভুলে গিয়ে হরেন্দ্রনাথ সাঁধুখা’র সৎকারে এগিয়ে এলেন। কাঁধে তুলে নিলেন তার লাশ। এরপর সৎকারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলেন। এতে তাদের মনের আনন্দ আরো বেড়ে গেছে। একটি সমাজসেবা করতে পেরে ঈদের আনন্দ বেড়ে গেছে তাদের। আর তাই ভারতীয় মিডিয়া এ খবরকে জোর দিয়ে প্রচার করেছে। সঙ্গে ছবিও। ঘটনাটি হুগলির। যেসব মুসলিম এগিয়ে গেছেন হরেন্দ্রনাথ সাঁধুখার দেহ সৎকারে তাদের মধ্যে আছেন আশিক মোল্লা, গোলাম সুবানী, গোলাম সাব্বার, শেখ সানি প্রমুখ। তাদের বসবাস হুগলির পোলবা-দাদপুর বøকের বাবনান গ্রামে। অন্যদের মতো তারাও শুক্রবার পবিত্র ঈদের আনন্দ উদযাপন করছিলেন। এমন সময় খবর এলো পাশের গ্রামের ৭২ বছর বয়সী হরেন্দ্রনাথ সাঁধুখা মারা গেছেন বৃহস্পতিবার রাতে। কিন্তু তার লাশ কেউ স্পর্শ করছে না। লাশ পড়ে আছে ঘরে। পড়শি হিন্দুরাও তাকে স্পর্শ করতে নারাজ। এর কারণ, তিনদিন জ্বরে ভুগে মারা গেছেন তিনি। করোনা পরীক্ষা করানোর আগেই বিদায় নিয়েছেন। তাই সবার আশঙ্কা তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাই কেউই তার বাড়ির ত্রিসীমানায় পা রাখেননি। তার একমাত্র ছেলে চন্দন ঘরে পিতার লাশ নিয়ে অসহায়। তার সৎকার করতে পারছেন না। এ খবর শুনে এগিয়ে গেলেন আশিক মোল্লা, গোলাম সুবানী, গোলাম সাব্বার, শেখ সানি প্রমুখ। হরেন্দ্রনাথ সাঁধুখা হিন্দু হোন- কিন্তু মানুষতো! মানুষের ধর্মই হলো অন্য মানুষকে সাহায্য করা। এবিপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন