আত্মহত্যা নয়, চৌগাছায় আহাদ আলীকে হত্যা করে স্ত্রী জেসমিন আর তার একমাত্র ছেলে সোহান ওরফে হারুন(১৯)। গত শনিবার পুলিশের সন্দেহের ভিত্তিতে ছেলে সোহান ও স্ত্রী জেসমিনকে আটকের পর তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ এসব তথ্য পেয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের দূর্গাবরকাটি গ্রামের নিজ ঘর থেকে আহাদ আলী (৪৪) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। আহাদ আলী একসময় ট্রাক চালাতেন। পরে তিনি কৃষি কাজে যোগ দেন।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) তৌহিদুল ইসলাম জানান, পরিবার থেকে জানানো হয়েছিল আহাদ আলী বুধবার রাতে ছেলে মেয়েরা যে ঘরে থাকে, তার পাশের ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিল। পরদিন সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় তারা দরজা ভেঙে ঢুকে দেখে, আহাদ আলীর বুকে ছুরি মারা এবং সারা শরীর রক্তাক্ত। বাবার লাশ দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশিরা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশের সন্দেহ হয় এ হত্যাকান্ডে পরিবারের লোকজন জড়িত। এ সন্দেহ থেকেই পুলিশ আহাদ আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার, একমাত্র ছেলে সোহান ওরফে হারুন ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ছেলে সোহান স্বীকার করে, সেই তার বাবাকে হত্যা করেছে। হত্যাকান্ডের বর্ণনায় সে জানায়, বাঁশের মাথায় ছুরি বেঁধে ইট দিয়ে তৈরি করা জানালার ফাঁক দিয়ে রাতে সে তার বাবাকে খোঁচা দিয়ে আহত করে। এ অবস্থায় ব্যাপক রক্তক্ষরণে আহাদ আলী মৃত্যুবরণ করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সোহান এ কথা স্বীকার করার পর সোহানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ বাড়িটি থেকে তার দেখানো স্থান থেকে রক্তমাখা ছুরি ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বাঁশের লগা উদ্ধার করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন