শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সাংবাদিক রোজিনার অবিলম্বে মুক্তি দাবি সিপিজের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২১, ১:৪৮ পিএম

আটক সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র এই সাংবাদিককে গতকাল গ্রেপ্তার করে আজ মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সব রকম তদন্ত প্রত্যাহারও দাবি করেছে সিপিজে।
সরকারি গোপনীয়তা বিষয়ক আইনের অধীনে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে সিপিজে। নিউ ইয়র্ক থেকে ১৭ই মে ইস্যু করা এক বিবৃতিতে এসব আহ্বান জানায় সিপিজে।
এতে আরো বলা হয়, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঔপনিবেশিক যুগের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মামলা করার পর সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারার অধীনে এবং দ-বিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারার অধীনে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ডকুমেন্টের ছবি ধারণের অভিযোগ করা হয়েছে। সিপিজে লিখেছে- আইন অনুযায়ী, যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় এবং তিনি অভিযুক্ত হন তাহলে ১৪ বছরের জেল এবং মৃত্যুদ- হতে পারে।
সিপিজের এই বিবৃতি লেখার সময় রোজিনাকে রাখা হয়েছিল শাহবাগ থানায়। সিপিজেকে ফোনে এসব তথ্য দিয়েছেন প্রথম আলো’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ।
এ ঘটনায় সিপিজের এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র গবেষক আলিয়া ইফতিখার বলেছেন, বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা একজন সাংবাদিককে আটক করে তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত ঔপনিবেশিক আমলের আইনে মামলা দিয়েছে। এ আইনে তার হাস্যকরভাবে কঠোর শাস্তি হতে পারে। এ ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ পুলিশ এবং কর্তৃপক্ষের এটা স্বীকার করা উচিত যে, রোজিনা ইসলাম একজন সাংবাদিক। তার কাজই হলো জনগণের সেবা করা। তাই অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্ত করে দেয়া উচিত।
সিপিজে লিখেছে- ঢাকা ট্রিবিউনের মতে, রোজিনা ইসলাম স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক সচিবের সঙ্গে সাক্ষাত করতে। সাজ্জাদ শরিফ সিপিজেকে বলেছে, গত মাসে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা নিয়ে রিপোর্ট করেছেন রোজিনা ইসলাম। প্রাথমিকভাবে তাকে ঢাকায় সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আটকে রাখা হয় কমপক্ষে ৫ ঘন্টা। তারপর তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকা ট্রিবিউন রিপোর্ট করেছে যে, পুলিশের কাছে করা অভিযোগ অনুযায়ী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের ব্যক্তিগত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভুইয়ার অফিসে রোজিনাকে দেখতে পান ডিউটিতে থাকা একজন পুলিশ অফিসার। এ সময় ভুইয়া এবং অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাকে। তার ওপর তল্লাশি চালান। বলা হয়েছে, এ সময় তার কাছ থেকে কিছু ফাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তার মোবাইল ফোনে কিছু ছবি পাওয়া যায়। এসব তথ্য পুলিশের কাছে অভিযোগে বলা হয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউনের মতে, ওই কক্ষ থেকে কোনো ফাইল পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন রোজিনা ইসলাম। খবর অনুযায়ী, সচিবালয়ে আটক অবস্থায় অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। সাজ্জাদ শরীফ বলেছেন, দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করার প্রতিশোধ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Anwar+Hossain ১৮ মে, ২০২১, ১:৫৮ পিএম says : 0
রোজিনা ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দিন । দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করার প্রতিশোধ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকতে পারে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন