শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

গণপূর্ত, রাজউক ও পাউবো’র অধীনে থাকা খালের দায়িত্ব দুই সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২১, ৫:৫২ পিএম | আপডেট : ৭:৩১ পিএম, ১৮ মে, ২০২১

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে থাকা খাল ও জলাশয়গুলো দুই সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

একই সময় রাজধানীতে ভারি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে হাতিরঝিলের সকল বন্ধ স্লুইসগেট খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত দেন মন্ত্রী।

আজ (মঙ্গলবার) মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা মহানগরীর খাল এবং প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় সংযুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা ওয়াসার নিকট থেকে ২৬টি খাল দুই সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুই মেয়র ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায়, খালসমূহ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাহিরেও রাজধানীতে ১৭ টি খাল রয়েছে। এই খাল ও জলাশয় সমূহ ঢাকা উত্তর সিটি উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী আরও জানান, হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে আহ্বায়ক করে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ/সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধি নিয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট প্রদান করবে। রিপোর্ট অনুযায়ী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

এছাড়া, দুই সিটি কর্পোরেশন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত খাল ও জলাশয় সমূহের সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণে তাদের পরিকল্পনার কথা জানাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকা ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত খালের ন্যায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্ত খালসমূহ সংস্কার-সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, নগরীর অনেক বাসা- বাড়ির মালিক তাদের নিজেদের সেপটিক ট্যাংক না রেখে সুয়ারেজের লাইন সরাসরি খালে দিয়ে থাকেন। এসব বাসার মালিকরা যদি নিজেদের সেপটিক ট্যাংক না তৈরি করে তাহলে আগামীতে এসব লাইন বন্ধ করে দেয়া হবে।

মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে রাজধানীর সকল খালসমূহ দখলমুক্ত, সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া মশার প্রজনন ঠেকাতেও খালগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মোঃ শরীফ আহমেদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ/সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধিগণ সংযুক্ত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন