শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রাজ্যপাল গণতন্ত্রের অপমান!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

পশ্চিমবঙ্গের তারকারা যথেষ্ট রাজনীতি সচেতন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যও করেন অনেকে। প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে মতামত জানান। তেমনই এক মন্তব্য করেছিলেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। তিনি লিখেছিলেন, ‘এটা কি অপমান? উনি কি অপমানিত?’ ঋত্বিকের এই পোস্টের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নেটিজনদের একাংশ একহাত নিয়েছেন।

গত সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্টটি করেছিলেন ঋত্বিক। অভিনেতার সেই পোস্টের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একজন লিখেছেন, ‘এই রকম একজন প্রধানমন্ত্রী আর সর্বোপরি এই রকম এক পার্টির ক্যাডার রাজ্যপাল বাংলা প্রথম প্রত্যক্ষ করল। আমরা দুর্ভাগা তাই ক্রমাগত এই সব মানুষকে দেখেই চলেছি। আবার অবশ্য ভবিষ্যতের ইতিহাসেরও সাক্ষী হয়ে রইলাম।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘একটা রাজ্যের লজ্জা! পদ্মপাল অপমানিত হওয়ার সীমা পার করে গেছেন।’ আরও এমন মন্তব্য করা হয়েছে। যার মধ্যে একটিতে লেখা হয়েছে, ‘উনি অপমানিত কিনা জানিনা, তবে উনি যে গণতন্ত্রের অপমান সেটা সবার কাছে পরিষ্কার।’ এমনই প্রতিক্রিয়াতে ভরে গেছে ঋত্বিকের কমেন্টবক্স। দু’শোরও বেশি মানুষ শেয়ার করেছেন পোস্টটি।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই কার্যত সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়েছে জগদীপ ধনকড়। রাজ্য-রাজ্যপাল সঙ্ঘাত তখন থেকেই চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার দিনও নজিরবিহীনভাবে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তাকে খোঁচা দিয়েছেন ধনকড়।
মন্ত্রীদের শপথের দিনও জগদীপ ধনকড় একই কাজ করেছেন। এমনকী মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্রদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি নেয়া হয়নি। তার বদলে সিবিআই রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েছিল।

এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল পদে জগদীপ ধনকড়ের অপসারণ চেয়ে এবার সরাসরি প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী প্রয়োজনে বিধানসভায় তার অপসারণের দাবিতে প্রস্তাবও পেশ করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্র : নিউজ ১৮।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন