বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

একান্ত সচিবের রুমে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি রাখা কর্তব্য অবহেলা : ঢাবি শিক্ষক সমিতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২১, ৭:২৬ পিএম

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হেনস্থা ও শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এতে তার বিরুদ্ধে আনা মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষ থেকে 'নথি সরানো ও ছবি তোলা'র অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে তারা বলেছেন, সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে কোনো রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর গোপন নথি অন্যের দৃশ্যমানতায় রাখা কর্তব্য অবহেলার শামিল।

আজ বুধবার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই কথা বলা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি অনুসারে উক্ত সাংবাদিক স্বাস্থ্য সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সরিয়েছেন এবং অনুমতি না নিয়ে নথির ছবি তুলেছেন। কিন্তু সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষ, যেখানে সচিব মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ প্রার্থীরা অপেক্ষমাণ থাকেন, সেখানে কোন রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর গোপন নথি অন্যের দৃশ্যমানতায় রাখা কর্তব্য অবহেলার শামিল। এ ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন জেগেছে যে ব্যক্তির অনিয়মের গোপন তথ্য রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কিনা? সম্প্রতি উক্ত সাংবাদিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাষ্ট্রের স্বার্থকে সমুন্নত করলেও কারও কারও বিরাগভাজন হয়েছেন।

বিবৃতিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও অভিযুক্ত সাংবাদিকের আইনগত সুরক্ষা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, সমাজের যে কোনো অসঙ্গতি তুলে ধরাই গণমাধ্যমের কাজ। আর পেশাগত দায়িত্ব পালনে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনানুসারে সুরাহা হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু উল্লিখিত সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও অসুস্থ হওয়ার পরও সচিবালয়ের মত রাষ্ট্রের শীর্ষ প্রশাসনিক দপ্তরে দীর্ঘসময় ধরে আটকে রেখে মানসিকভাবে নির্যাতনের ঘটনা চরম অপেশাদারিত্ব, কর্তৃত্ববাদী ও অসৌজন্যমূলক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। এ ঘটনা সাধারণ মানুষের কাছে এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে বিদ্যমান স্বাধীনতা সম্পর্কে একটি ভুল বার্তা দিচ্ছে। সরকার তাঁর গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে এটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে প্রমাণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। একই সাথে মুক্ত গণমাধ্যমের পরিপন্থী সকল প্রতিবন্ধকতা অপসারণের আহ্বান জানান শিক্ষকবৃন্দ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
আমির হোসেন ভুইয়া ২০ মে, ২০২১, ১১:৩৩ এএম says : 0
একদম সঠিক কথা বলেছেন।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন