বাড্ডা থানায় দায়ের করা মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর ভার্চ্যুয়াল আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন। গত ১৬ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী গোল্ডেন মনিরের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য ১৮ মে দিন ধার্য করেন। এদিন গোল্ডেন মনিরের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
গত ১১ মে বিকেলে সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে গোল্ডেন মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার ও ছেলে রাফি হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হলে- গোল্ডেন মনিরের বোন নাসিমা আক্তার, নাসিমার স্বামী হাসান আলী খান, মনিরের আরেক ভগ্নিপতি নাহিদ হোসেন, গোল্ডেন মনিরের সহযোগী আবদুল হামিদ, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, রিয়াজের ভাই হায়দার আলী এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক।
২০২০ সালের ২০ নভেম্বর গভীর রাতে মনিরের বাড্ডার বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব। পরে ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টার অভিযান শেষে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। সবশেষ মানিলন্ডারিং আইনের এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন