গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গতকাল বুধবার জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানাবেন দুটি বিশেষ শর্তে। এর একটি হলো আল-আকসা মসজিদের প্রবেশপথ থেকে পুলিশ সরিয়ে নিতে রাজি হতে হবে ইসরাইলি বাহিনীকে। দ্বিতীয় শর্ত হলো, বিরোধপূর্ণ পূর্ব জেরুসালেমের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করা বন্ধ করতে হবে।
ইসরাইল এখনো গাজায় হামলা করে যাচ্ছে। আর ফিলিস্তিনিরাও ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ করছে। উত্তেজনা বাড়ার আরেকটি কারণ ঘটছে লেবাননে। সেখান থেকেও উত্তর ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
গত ১০ মে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে বর্তমান দফার লড়াই শুরু হয়। আল আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে ইসরাইলি পুলিশ ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালানোর প্রতিবাদে হামাস রকেট নিক্ষেপ করলে লড়াই শুরু হয়ে যায়। আল আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে ইসরাইলি পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ ও ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়ার ফলে উত্তেজনা প্রবল হয়ে ওঠে।
ইসরাইলের বিভিন্ন নগরীতে হামাস এ পর্যন্ত অন্তত ৩,৭০০ রকেট নিক্ষেপ করেছে। অবশ্য এর বেশির ভাগই ইসরাইলের আয়রন ডোম ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৩১ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৪ জন শিশু, ৩৮ জন নারী। আর আহত হয়েছে ১,৬২০ জন। এই তথ্য দিয়েছে গাজর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে ৪ শিশুসহ ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজা উপত্যকা থেকে নিক্ষেপ করা ফিলিস্তিনি রকেটে ইসরাইলে নিহত হয়েছে ১২ জন।
হামাস ও ইসলামিক জিহাদ বলেছে, ইসরাইলি হামলায় তাদের অন্তত ২০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। আর ইসরাইল এ সংখ্যাটি অন্তত ১৩০ হবে বলে দাবি করেছে। প্রায় ৫৮ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে গেছে।
এদিকে গতকাল বুধবার ইসরালি চ্যানেল ১২ জানায়, ইসরাইল রাজনীতিবিদ ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে একমত প্রতিষ্ঠা হয়েছে যে শুক্রবারের আগে কোনো যুদ্ধবিরতি গ্রহণযোগ্য হবে না। সূত্র : ডেইলি সাবাহ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন