শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লাইফস্টাইল

মৃদু উপসর্গে অবহেলা? ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ

| প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২১, ১২:০৩ এএম

শরীরে সামান্য উপসর্গ দেখা দেয়ার পরই পরিস্থিতি ক্রমে ভয়ঙ্কর হতে থাকে। করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে এমন অবস্থা অনেকেরই হচ্ছে। অনেক করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রেই নিজেদের ভুলে সমস্যা বিরাট আকার নিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে সচেতন হবেন?

উড়িয়ে দেবেন না : অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সমস্যা খুব সামান্য। তা দেখে নিজে বা পরিবারের অন্যরা মানতেই চান না যে করোনা হয়ে থাকতে পারে। সাধারণ সর্দি-জ্বর বা ঠান্ডা লাগা বলে ধরে নিতে চান। গন্ধ না পেলেও মনে করেন, সর্দিতে নাক বন্ধ। এসব ক্ষেত্রে সমস্যা বড় আকার নিলে সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলায় দেরি : এটিও উড়িয়ে দেওয়ার মতোই। অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গ দেখে মনে করেন তেমন কিছুই হয়নি। ফলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চান না। সময় নষ্ট হওয়ায় পরে সমস্যা বড় আকার ধারণ করে।
দেরিতে পরীক্ষা : একেবারেই নয়। বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দ্রæত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। পরীক্ষা করাতে দেরি হলে বিপদের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। দেরি করে পরীক্ষা করালে চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হয়। সংক্রমণ গুরুতর হওয়ার আশঙ্কাও বাড়তে থাকে।

পরীক্ষার ফলের অপেক্ষা : কোভিড পরীক্ষার ফল দেরিতে আসছে অনেকের ক্ষেত্রেই। কারণ বিরাট সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন পরীক্ষা করাচ্ছেন। ফলে চাপ বাড়ছে। তাই ফল আসতেও দেরি হচ্ছে। ফলের অপেক্ষা করতে গিয়েই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে অনেকের ক্ষেত্রে।

চিকিৎসক কী বলছেন : কোভিডের স্বল্প উপসর্গ দেখা দিলেই নিয়মিত অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এমনটাই মত চিকিৎসকদের। দিনে দুই থেকে তিনবার অক্সিজেন মাপতে হবে। অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩-এর নীচে নেমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, অক্সিজেনের পাশাপাশি দিনে বেশ কয়েক বার শরীরের তাপমাত্রা মাপাটাও দরকার। তাপমাত্রা পরিবর্তনের গতিপ্রকৃতিও নিয়মিত চিকিৎসকদের জানানো দরকার। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, এবিপি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন