আদমদীঘিতে মোবাইল চুরির অপবাদে মো. সুরুজ নামের এক প্রতিবন্ধী যুবককে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে বিচার শালিস বৈঠকে ২০ হাজার টাকায় দফারফা করেছেন নির্যাতকারী স্থানীয় এক ইউপি সদস্যসহ প্রভাবশালী ৪ ব্যাক্তি। জানা যায়, গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাশিমিল্লা গ্রামের স্কুল মাঠে মোবাইল চুরির অপবাদে মো. সুরুজ নামের এক প্রতিবন্ধী যুবককে অমানবিক নির্যাতন ঘটনার বিচার শালিস অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. এরশাদুল টুলুর উপস্থিতিতে মো. আজিজার মাস্টারের সভাপতিত্বে বিচার শালিসে নির্যাতনকারী মোবাইল মালিক শরেফুলের ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর নির্যাতনকারী শরেফুলের ছেলে নাহিদ, বুলু, রাজু ও স্থনীয় ইউপি সদস্য মামুন মাফ চেয়ে নেয়।
ফলে এত বড় ঘটনা ঘটিয়ে ও সামান্য জরিমানা ও মাফ চেয়ে পার পেলন নির্যানকারী ব্যাক্তিরা। বিচারের সভাপতি সাবেক শিক্ষক আজিজার রহমান জানান, অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয় এবং মোবাইলটি চুরি-ই হয়নি। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আইনগত জটিলতা থাকায় আমরা কোন শালিস বা দরবার করিনি। সেখানে মানসিক প্রতিবন্ধী সুরুজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এ কারণে এবং অন্যায় ভাবে নির্যাতন করায় চিকিৎসা খরচ হিসাবে শরেফুলের নিকট থেকে ওই টাকা নিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি জানান, সান্তাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু এবং গ্রামের মুরব্বীগণ সম্মিলিত ভাবে ওই রায় প্রদান করেন। এছাড়া শরেফুল হাতজোড় ক্ষমা প্রার্থনা করায় সুরুজের হতদরিদ্র পরিবার তা মেনে নেয়। এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ বিচার শলিস ওই গ্রামের অনেকে মেনে না নিলেও নির্যতনকারীরা প্রভাবশলী হওয়ায় কেউ প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তাদেরে মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, ঈদের পরদিন উপজেলার কাশিমিল্লা গ্রামের শরেফুলের মার্কেটের দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। পরে ওই মোবাইল চুরির সন্দেহে ওইদিন রাতে প্রতিবন্ধী যুবক সুরুজকে ধরে মোবাইল মালিকের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাত-পা এক সাথে বেধে লাঠি দিয়ে অমানবিক নির্যতন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন