বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

টিটিআইপি চুক্তির বিরোধিতায় জার্মানির সাত শহরে বিক্ষোভ

শ্রমিক-জনতার মিছিলে বিশ্বায়নবিরোধী স্লোগান

প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বিতর্কিত ট্রান্সআটলান্টিক ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ (টিটিআইপি) চুক্তির বিরোধিতা করে জার্মানির সাতটি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। গত শনিবার এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। বার্লিন ও মিউনিখে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে এসব বিক্ষোভকারী ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলে তারা বিশ্বায়নবিরোধী স্লেøাগান দেন। এতে কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং ট্রেড ইউনিয়ন অংশগ্রহণ করে।
বিশ্বায়নবিরোধী গ্রুপ আট্টাকের নেতা রোলান্ড সুয়েস এর আগে জানিয়েছিলেন, টিটিআইপির বিরোধিতায় জার্মানির সাতটি শহরে বিক্ষোভে অংশ নিতে আড়াই লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছেন। ২০১৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র টিটিআইপি নিয়ে আলোচনা শুরু করে। অক্টোবর মাসে এ চুক্তি চূড়ান্ত করতে নতুন করে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছাড়ার আগেই চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে চান। টিটিআইপি চুক্তির একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ সিইটিএ নামে অক্টোবর মাসেই স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। গ্রিনপিস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক জেনিফার মরগান বলেন, সিইটিএ ও টিটিআইপি পরিবেশ এবং ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার কয়েক কোটি ভোক্তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এসব চুক্তি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা আইনকে দুর্বল করবে, পরিবেশগত আইন, ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রণ ও জাতিগত সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করবে। সিইটিএ ও টিটিআইপি চুক্তির বিরোধিতা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের নেতা ও এমপি পিটার গাওয়েইলার। সম্প্রতি তিনি দল ও এমপির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি এ দুটি চুক্তিকে গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন। টিটিআইপির চুক্তির বিরোধিতায় ২০১৫ সাল থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন জার্মানরা। সর্বশেষ চলতি বছর এপ্রিলেও বড় ধরনের বিক্ষোভ পালন করা হয়। টিটিআইপি চুক্তির সমর্থকদের দাবি, বিশ্ব অর্থনীতির এ অনিশ্চয়তাকালীন সময়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য শুল্ক প্রত্যাহার অথবা হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যসংক্রান্ত নীতির সমন্বয় হবে আরো বেশি। ফলে দুই পক্ষের বাণিজ্য প্রবাহ জোরদার হবে। তিন বছর আগে টিটিআইপি আলোচনা শুরু হওয়ার সময় বারাক ওবামা বলেছিলেন, এ চুক্তি আটলান্টিকের দুই পাড়ে নতুন প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। বলা হচ্ছে, চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে এটি হবে বিশ্বের সবচেযে বড় বাণিজ্যিক ব্লক। এটি ৮০ কোটি মানুষের একটি বাজার তৈরি করবে। লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং দ্রুত সম্প্রসারণশীল এশিয়ার অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য তৈরি হবে। বিশ্ব অর্থনীতি জোরদার হবে। তবে সমালোচকরা বলছেন এটি অগণতান্ত্রিক, এর ফলে বড় কোম্পানিগুলো অনেক বেশি ক্ষমতা পাবে। ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা বছর শেষের আগেই টিটিআইপি চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোয় মতৈক্যে পৌঁছতে চাইছেন। তাদের আশঙ্কা, আগামী বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাসীন হলে এবং ইউরোপের বড় দেশগুলোয় নির্বাচনী মৌসুম এলে টিটিআইপি আলোচনা হোঁচট খেতে পারে। দ্য গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন