বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মধুপুরে বাল্যবিবাহ বন্ধ উভয় পক্ষকে ১লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২১, ৫:৫৩ পিএম

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ভান্ডারগাতী গ্রামে ২৩ মে, রবিবার মোঃ আনোয়ার হোসেনের ১২বৎসরের ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন এবং সহকারী কমিশনার (ভুমি)এম. এ. করিম রাত আনুমানিক ৮টার সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়।
উক্ত অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা ইয়াসমীন মেয়ে পক্ষকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ৮ ধারায় ৫০ হাজার টাকা এবং সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এম এ করিম ছেলে পক্ষ মোঃ রাজু আহমেদ (২৫), পিতা মৃত মোঃ মোকছেদ আলী, গ্রাম- আকাশী, মধুপুর কে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭এর ৭ এর (১)ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। মেয়ে পক্ষ মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্ষন্ত এবং ছেলে পক্ষ ছেলেকে বাল্য বিবাহ করাবেন না বলে অঙ্গিকার নামা প্রদান করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বাল্যবিবাহ দেওয়া এবং বাল্যবিবাহ করা সহ উক্ত বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিতিদের আইনের আওতায় নিতে কঠোর আইন প্রনয়ণ করেছেন।
বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের লক্ষে নব্য যোগদানকৃত মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন এবং সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এম এ করিম ব্যাপক ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন কয়েক মাসেই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মধুপুর উপজেলায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন বাল্য বিবাহ দেওয়া মানেই নিজের মেয়েকে মৃত্যুর মুখে ফেলে দেওয়া। তিনি মধুপুর উপজেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন এবং বাল্য বিবাহ না দেওয়ার জন্য সকল অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন