বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজধানীতে পশুরহাট ২৩টি

করোনা পরিস্থিতির বিবেচনায় কমতে পারে সংখ্যা

ইয়াছিন রানা/ মো. জাহিদুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ২৩টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ১৩টি হাট বসবে ঢাকা দক্ষিণে। ১০টি ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায়। এর বাইরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) স্থায়ী হাট গাবতলী এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) স্থায়ী হাট সারুলিয়ায়ও পশু কেনাবেচা হবে। পশুর অস্থায়ী এসব হাট ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে দুই সিটি করপোরেশন।

করোনা মহামারির মধ্যেও গত বছর দুই সিটি করপোরেশন রাজধানীতে ২৪টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় উত্তর সিটিতে ১০টির পরিবর্তে ৬টি এবং দক্ষিণে ১৪টির পরিবর্তে ১১টি হাট বসায় কর্তৃপক্ষ। করোনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এখন পর্যন্ত চলাচলে সরকারি বিধিনিষেধ চলছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দুই সিটি করপোরেশন কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ডিএনসিসির অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদনগর), কাওলা শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা (আশিয়ান সিটি), ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রিজসংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গা, উত্তরখান মৈনারটেক শহীদনগর হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ই-ব্লকে (সেকশন-৩ এর খালি জায়গা), উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমের অংশ, ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের ফাঁকা জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা এবং তেজগাঁও কলোনী বাজার সংলগ্ন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠ। এছাড়া গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটে পশু কেনা-বেচা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় গত বছর বাইরে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হলে হাটব্যবস্থার বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আর ঢাকা দক্ষিণ সিটির অস্থায়ী হাটগুলো হলো- উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগ এলাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন গোপীবাগ বালুর মাঠ, কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ সেকশন ১ ও ২-এর খালি জায়গা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ডসংলগ্ন খালি জায়গা এবং গোলাপবাগে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মার্কেটের পেছনের খালি জায়গা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, করোনা সংক্রমণসহ যেকোনো পরিস্থিতি বিবেচনায় হাটের সংখ্যা কমতেও পারে বলে জানান তিনি।
গত বছর হাটের ইজা মূল্য: ডিএনসিসির পাঁচটি হাটের মধ্যে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে বৃন্দাবন থেকে বিজিএমইএ ভবন পর্যন্ত খালি জায়গার হাট ইজারা দেওয়া হয় নুর হোসেনকে। তিনি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ইজারা নেন। কাওলা শিয়াল ডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গায় (আশিয়ান সিটি) ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় হাটের ইজারা পান রুবেল শওকত। ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড আওতাধীন ডুমনি এলাকার হাট মাহমুদুল হাসান ইজারা পেয়েছেন ৪০ লাখ টাকায়। ৪০ নম্বর ওয়ার্ড আওতাধীন ভাটারার সাইদ নগর হাট ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে সিদ্দিকুর রহমানকে। আর উত্তরখানের হাট চার লাখ ২৫ হাজার টাকায় ইজারা পান পারভেজ মিয়া।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) হাটগুলোর মধ্যে পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন হাট ৭০ লাখ ৫০ হাজার ইজারা পেয়েছিলেন মঈন উদ্দিন চিশতী। দুই কোটি ৫২ লাখ টাকায় গোপীবাগের হাটের ইজারা পেয়েছিলেন আমের খান। এক কোটি ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৫ টাকায় হাজারীবাগের হাটের ইজারা পান ইয়াফেজ আহমেদ। ৮৫ লাখ ৫০ হাজারে খিলগাঁও হাটের ইজারা দেওয়া হয়েছিল এএমএম এন্টারপ্রাইজকে। এক কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকায় আফতাব নগরের হাটের ইজারা পেয়েছিলেন মোহাম্মদ রায়হান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন