বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

অর্থনৈতিক অসাম্য বর্তমানে দেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ এনজিওগুলোকে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা য়ে কাজ করার তাগিদ এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে অসাম্য দূরীকরণে গুরুত্বারোপ

প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দারিদ্র্য হ্রাসে সন্তোষজনক অগ্রগতি হলেও দেশে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক ও সামাজিক অসাম্য। এ কারণেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে অসাম্য দূরীকরণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেসরকারি সংস্থাসমূহ কাজ করলেও তাদেরকে গতানুগতিক কর্মসূচির বাইরে নতুন উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল ধারণা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। পাশাপাশি আমলাতান্ত্রিকতার জটিলতা দূর করে এ মুহূর্তে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহের সমন্বিত কর্মসূচি।
গতকাল রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘উন্নয়ন কর্মকাÐকে ফলপ্রসূ করার জন্য সমন্বয়’বিষয়ক ওরিয়েন্টেশনে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ডা. মুহাম্মাদ মুসা। সভাপতিত্ব করেন এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম।
ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ, টেকনোলজি এবং পার্টনারশিপ স্ট্রেংদেনিং ইউনিটের পরিচালক কেএএম মোর্শেদের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক মো. আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইফনিট-এর যুগ্ম পরিচালক মাসুদ রানা, ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. আব্দুল বায়েস, ব্র্যাকের ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট ইউনিটের সমন্বয়ক এন্ড্রু জেনকিন্স প্রমুখ। এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর আয়োজনে ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় এ ওরিয়েন্টশনের আয়োজন করা হয়।
ওরিয়েন্টশনের প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের ৬টি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ৩৪ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ৬ জন সহকারী কমিশনারসহ মোট ৪৬ জন সরকারি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। পরে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য বিভাগগুলোতেও এ ধরনের ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করা হবে।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বেসরকারি সংস্থাসমূহের একজন আঞ্চলিক ম্যানেজার স্বাধীনভাবে দ্রæত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু সরকারের আন্তরিকতা থাকা সত্তে¡ও আমলাতান্ত্রিকতার কারণে অনেক সময় তা পারা যায় না। এ জন্য বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আমাদের সমন্বিত উপায়ে কাজ করতে হবে। কেননা আমাদের প্রত্যেকের টার্গেট দারিদ্র্য বিমোচন।
মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এখন শুধু নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষার মতো গতানুগতিক কর্মসূচি নিয়ে কাজ করলে হবে না। বরং সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদেরকেও উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল ধারণা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।
‘৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’বিষয়ক (এসডিজি) প্রবন্ধে ড. আব্দুল বায়েস বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকীর পরিকল্পনার তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন, লক্ষ্য করলে দেখা যাবেÑ প্রথম থেকে শুরু করে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পর্যন্ত আমরা প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারিনি। কিন্তু আবার এটাও সত্য, প্রতিটি পরিকল্পনায় আমরা আগের চেয়ে প্রবৃদ্ধিতে এগুচ্ছি।
তবে নির্মম বাস্তবতা যে পৃথিবীতে বসবাসরত ৭০০ কোটি মানুষের মধ্যে ৩৫০ কোটির সম্পদ মাত্র ১০০ কোটির হাতে পড়ে আছে। তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বৈষম্য দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক অসাম্যকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ডা. মুহাম্মাদ মুসা অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করতে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করার তাগিদ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন