মাদারীপুরে ত্রিভুজ প্রেমের কারণেই বিসিএস পরীক্ষার্থী ইমনকে গলাকেটে হত্যা করা হয় বলে গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। ঈদের দিন নদের পাড়ে ডেকে নিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে হত্যা করা হয় ইমনকে। এই ঘটনায় কথিত প্রেমিকা লাবনী আক্তারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৫ মে মাদারীপুরের শিবচরের চর-বাঁচামারা গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয় বিসিএস পরীক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন ইমনের। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করলে তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শিবচর উপজেলার উত্তরচর তাজপুর গ্রামের আলমগীর চৌধুরীর মেয়ে কথিত প্রেমিকা লাবনী আক্তার ও তার সহযোগী একই উপজেলার দত্তপাড়া খাড়াকান্দি গ্রামের মনসুর ফরাজীর ছেলে মেহেদী ফরাজী।
মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আল মামুন জানান, হত্যাকাÐে ব্যবহৃত ছুঁড়ি ও ইমনের হাতঘড়ি, মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। মামলাটি গোয়েন্দা পুুলিশের পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার ঘোষ তদন্ত করছেন। শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, এক বছর আগে মুঠোফোনের মাধ্যমে ইমনের সাথে পরিচয় হয় লাবনীর। একপর্যায়ে তাদের মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। অন্তরঙ্গ ছবি তোলেন দু’জনে। পরে লাবনীর সাথে পরিচয় হয় কামরুজ্জামান কামরুল নামের এক যুবকের। এরপর থেকে ইমনের মুঠোফোনে থাকা সব ছবি মুছে ফেলতে বলে লাবনী। ছবি মুছে না ফেলার কারণেই ঈদের দিন বিকেলে ক্লোল্ড ড্রিংসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে গলাকেটে হত্যা করা হয় ইমনকে। ত্রিভুজ প্রেমের কারণেই হত্যা করা হয় ইমনকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন