বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজাপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’, পূর্ণিমার জোয়ার ও চন্দ্রগ্রহণের প্রভাবে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি

আশ্রয় কেন্দ্রে পানিবন্দীরা

রাজাপুর (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ৭:৩৪ পিএম

ঝালকাঠির রাজাপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’, পূর্ণিমার জোয়ার ও চন্দ্রগ্রহণের প্রভাবে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে,হাজার মানুষ পানি বন্দী। উপজেলার তীরবর্তী বিষখালি নদীতে বেড়িবাঁধ না থাকায় পানি ডুকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভেসে গেছে দুই শতাধিক পুকুরের মাছ।

স্থানীয়রা জানায়, বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুইদিন থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপজেলার বড়ইয়া, পালট, নিজামিয়া, চরপালট আবাসন, উত্তমপুর, বাদুরতলা, মানকিসুন্দর, নাপিতের হাট, ডহরশংকর, মঠবাড়ি, সাতুরিয়া, দঃতারাবুনিয়া, মেদিরাবাদ তারাবুনিয়া, রামবাদক এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পরেছে। রাতের জোয়ারে পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায় বেড়ীবাঁধ না থাকায় বিষখালী নদীর তীরবর্তী হাজারো মানুষ এখন আতঙ্কে রয়েছে।

বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহআলম মন্টু বলেন- অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানেও এতো পানি হয়নি, সব পুকুর ডু্বে মাছ ভেসে গেছে, তার ইউনিয়নে ২ টি সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেয়া নারী শিশুদের দুপুরে রান্না করা খাবার দেয়া হয়েছে, রাতে ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সাতুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন- সব পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।তিনটি গ্রাম তলিয়েছে। কাঁচা, পাকা রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।এতো পানি উঠতেছে তা বলা মুশকিল।

উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান জানান- বিষখালী তীরবর্তী এলাকাটি নিম্নাঞ্চল, বেড়ীবাঁধ না থাকায় কাঁচা, পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে,স্কুল, কলেজ, সহ ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে, উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোজ্জামেল হক জানায়, পানি বৃদ্ধি কারণে দুই শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

কৃষি অফিসার রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর বলেন-১০০% আউশ ধানের ক্ষেতে পানিতে তলিয়েছে। ২/১দিনে পানি না নামলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন , যাদের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে রেখে খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ৬ টি ইউনিয়নে ১৫ টি সাইক্লোন সেন্টার খোলা রাখা হয়েছে, সার্বিক ভাবে জনপ্রতিনিধিরা যোগাযোগ রক্ষা করছে।

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি, গুমট আবহাওয়া বিরাজ করছে, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন