শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাবমেরিন ক্যাবলের কাজের জন্য ইন্টারনেটের গতি কম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভূগর্ভস্ত ক্যাবলের কাজের কারণে দেশে শুক্রবার ৮ ঘণ্টা ইন্টারনেট ধীরগতি থাকবে বলে আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। ফলে অন্যান্য সময়ের চেয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধীরগতির ইন্টারনেটের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন গ্রাহকরা। গতকাল শুক্রবার দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবলের ভূ-গর্ভস্থ বিকল্প রুট চালু করতে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের টার্মিনেটেড সার্কিটগুলো বন্ধ রাখে বিএসসিসিএল। বেলা আড়াইটা থেকে এ কাজ শুরু হয়। এতে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ধীরগতির কারণে কিছুটা সমস্যায় পড়েন।

বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান গতকাল বিকেলে বলেন, নতুন রুটে স্থাপিত অপটিক্যাল ফাইবার ও পাওয়ার ক্যাবলের সঙ্গে ‘সি-মি-উই-৪’ সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ দিতে প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। ততক্ষণ ইন্টারনেটের ধীরগতির সমস্যা থাকতে পারে।
তবে সেই সমস্যা এখনও বড় আকার ধারণ করেনি জানিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ও আইআইজি সেবাদানকারী কোম্পানি ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাব্বির বলেন, ছুটির দিনে অফিস আদালত বন্ধ থাকায় এমনিতেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের চাহিদা এক তৃতীয়াংশে নেমে আসে। তাই তেমন সমস্যা নেই। না। তাছাড়া বেশিরভাগ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান একাধিক বিকল্প ব্যবস্থা রাখে, তাই এক ক্যাবল সমস্যা হলে অন্য রুটে তারা সেবা দিতে পারে।

বিএসসিসিএল জানায়, কক্সবাজার সড়ক বিভাগ ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ‘সি-মি-উই-৪’ সাবমেরিন ক্যাবলের কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে বিচ ম্যানহোল পর্যন্ত বর্তমান ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবলের বিকল্প রুট হিসাবে নতুন একটি ভূ-গর্ভস্থ কেবল রুট স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন নতুন রুটে স্থাপিত অপটিক্যাল ফাইবার ও পাওয়ার ক্যাবলের সঙ্গে ‘সি-মি-উই-৪’ সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া ‘সি-মি-উই-৪’ সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে টার্মিনেটেড সার্কিটগুলো নতুন ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবলে (বিচ ম্যানহোল থেকে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন) স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এ কাজ হয়।

ইন্টারনেট সেবাদাতাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রায় এক হাজার ৭০০ জিবিপিএসের বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয়, যার প্রায় অর্ধেক আসে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল দিয়ে।
বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। তারপর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়। সাবমেরিন কেবল ছাড়াও বাংলাদেশ এখন ছয়টি আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবলের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে যুক্ত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন