বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জন্মান্ধের দৃষ্টিশক্তি জিন থেরাপিতে ফিরল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

টানা ১৩ বছরের গবেষণার পর জিন থেরাপিতে সফলতার দেখা পেয়েছেন সুইজারল্যান্ডের একদল গবেষক। জিনগত অন্ধত্ব দূর করতে ওই গবেষক দলের গবেষণাকে মানব ইতিহাসের জন্য মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওই গবেষকদের কল্যাণে ৪০ বছর পর আংশিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন এক অন্ধ ব্যক্তি। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের গবেষকরা অপটোজেনেটিক থেরাপি ও বিশেষ চশমার ব্যবহারে তার দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষকরা দাবি করেছেন, এ ধরনের থেরাপি মানুষের ওপর সফল প্রয়োগের ঘটনা এটাই প্রথম।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৮ বছর বয়সী ওই অন্ধ ব্যক্তি ৪০ বছর ধরে রেটিনাইটিস পিগমেনটোসা নামে স্নায়ুজনিত চক্ষুরোগে ভুগছিলেন। এতে চোখের ফটোরিসেপ্টরগুলোর ক্ষতি হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যেতে পারেন। বিজ্ঞানীরা চোখের রেটিনা কোষকে পুনঃপ্রোগ্রাম করতে এক ধরনের জিন থেরাপি ব্যবহার করেছেন। গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে নেচার মেডিসিন সাময়িকীতে।

গবেষকরা বলছেন, এ থেরাপি ব্যবহারে চশমা পরা অবস্থায় কোনো বস্তু শনাক্ত, অবস্থান নির্ণয় বা গণনা করতে পারেন রোগী। ঘরের ব্যবহার্য জিনিসপত্র শনাক্ত করতে পারেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞানের অধ্যাপক রবার্ট ম্যাকলারেন বলেন, ‘জিন থেরাপি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা আংশিক দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে পেরেছেন। এটা উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি আরও পরিমার্জন করা গেলে তা রোগীর জন্য অপটোজেনেটিক থেরাপিকে একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে পরিণত করবে।’

গবেষণা দলের সদস্য হোসে অ্যালেন সাহেল ইয়াহু নিউজকে বলেন, ‘এটা অবশ্যই রাস্তার শেষ নয়, তবে এটি একটি অন্যতম মাইলফলক।’ সাহেলের দল প্রথমে অন্য একটি পদ্ধতিতে ওই ব্যক্তির অন্ধত্ব দূর করার চেষ্টা করেন। গবেষকরা চেয়েছিলেন, তাদের পদ্ধতি ব্যবহার করে যে করে হোক ওই ব্যক্তির চোখে যাতে আলো প্রবেশ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা। কারণ, আলো প্রবেশ করাতে না পারলে রেটিনা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। এক্ষেত্রে তারা হলুদাভ বাদামি আলো ব্যবহার করেন, যা চোখের পক্ষে সহ্য করা তুলনামূলক সহজ। এই পদ্ধতিতে পুরোপুরি সফল হতে না পেরেই গবেষকরা ফটোরিসেপ্টরগুলোকে সক্রিয় করতে জিন থেরাপির আশ্রয় নেন। জিন থেরাপির মাধ্যমে অন্ধত্ব দূর করার লক্ষ্যে সাহেলের দল নিকট ভবিষ্যতে আরও স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে কাজ করবেন। এতদিন যা ছিল শুধুই তাত্ত্বিক বিষয়, তা এখন প্রায়োগিক হওয়ার কারণে বিজ্ঞানীদের পক্ষে কাজ করা আগের চেয়ে সহজ হয়েছে বলে মনে করেন সাহেল। সূত্র : সিএনএন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন