বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফেঁসে গেল ৩ কিশোর

গাছে বেঁধে নির্যাতনের নাটক

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

চাটখিলে এক কিশোরেকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে ছবি তুলে ফেঁসে গেলেন ৩ কিশোর। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দিকে উপজেলার ২নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের ধোয়া বাড়ির বাগানে এই ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার আটককৃত প্রধান আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, পুলিশ মৌখিক অভিযোগ পেয়ে গত শুক্রবার রাতে মামলার প্রধান আসামি মো. মিরাজ হোসেনকে আটক করে। সে উপজেলার ২নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের মিনহাজী পাটোয়ারী বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে এবং পেশায় একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশাচালক।

জানা যায়, গত ২৭ মে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরাজের মা মিনু আক্তারের সাথে তার ননদ আমেনা বেগমের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরাজের সাথে তার ছোট কাকা ইব্রাহীমের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়ির অন্যান্য লোকজন এসে দুই পক্ষকে নিবৃত করে। তখন চাচা ইব্রাহীম মিরাজকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এরপর মিরাজ এই হুমিককে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে চাচাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গত ২৮ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মো. রাফি ও মো.জিহাদের যোগসাজশে মিরাজ তাকে পার্শ্ববর্তী ধোয়া বাড়ির বাগানের সুপারি গাছের সাথে পিছনের দিকে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের নাটক সাজায়। তারপর নির্যাতনে সাজানো ছবি তুলে চাচাদেরকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে একাধিক ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দেয়। পরে এ ঘটনায় তার বড় চাচা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে তার ভাতিজা মো. মিরাজ হোসেনকে প্রধান আসামি করে তিন জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।

চাটখিল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মিথ্যা ও সাজানো ঘটনার ছবি ধারণ করে চাচাদেরকে ফাঁসানের চেষ্টা করে মিরাজ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পুলিশ ফেইসবুকে ছবি দেখে তাৎক্ষণিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ঘটনাটি সাজানো নাটক ছিল। সাথে সাথে পুলিশ অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে আটক করে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন