সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শাহাদাত বার্ষিকীতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যা লিখছেন নেটিজেনরা

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২১, ১১:২৬ এএম

৩০ মে বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি শোকাবহ দিন। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে শাহাদাত বরণ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রাক্তন সেনাপ্রধান, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সেক্টর কমান্ডারের শাহাদাতবার্ষিকীতে তাঁর অসাধারণ দেশপ্রেম, অসম সাহসীকতা, সততা-নিষ্ঠা ও কর্মময় জীবনের কথা স্মরণ করছেন সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেশের জন্য অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। অনেক আবেগঘন স্টাট্যাসের মাধ্যমে জানাচ্ছেন গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। করছেন পরকালীন আত্মার মাগফিরাত কামনা।

স্মৃতিচারণ করে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর তার ফেইসবুক পেইজে লিখেন, ‘এইতো সেদিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুদি দোকানে গেলাম সদাইপাতি আনতে। গিয়ে বিবিসিতে শুনলাম প্রেসিডেন্ট জিয়াকে চিটাগং সার্কিট হাউজে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। হাত পা অবশ হয়ে এলো। আমার বয়স তখন নয়। তিনবার মানুষটাকে সামনাসামনি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। দু’বার কুমিল্লা গুলবাগিচা স্কুলের কাব হিসেবে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে রিসিভ করেছিলাম। আরেকবার ঢাকা শিশু একাডেমিতে নাটক প্রতিযোগীতায় তিনি দেখা করতে এসেছিলেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে, সেখানে আমিও ছিলাম। আমার ছোট্ট মনে গভীর দাগ কেটে গেল শহীদ জিয়ার মৃত্যু। জ্ঞান বুদ্ধি হবার পর থেকেই উনার নেতৃত্বের অনুগত সৈনিক হিসেবে নিজেক উৎস্বর্গ করেছি। ক্ষণজন্মা নেতা হিসেবে মাত্র তিন বছরের শাসনামলে তিনি জাতিকে দিয়েছিলেন অসাধারন কর্মযঁজ্ঞের অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চূড়ান্ত বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন আপামর জনসাধারণের মাঝে। এক অদ্ভূত জাগরণের দাবানলে তলাবিহীন ঝুঁড়ির গ্লানি থেকে দেশের সম্মান নিয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক দরবারে। ইরাক ইরান ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্ততাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তিনি পৌঁছে গেলেন বিশ্বনেতার কাতারে। দেশকে স্বনির্ভর করার প্রাণান্ত চেষ্টা করে গেছেন আমাদের রাখালরাজা। সাধারণ মানুষের আবেগের কেন্দ্রিবন্দুতে নিজের জায়গা করে নিলেন শহীদ জিয়া। দেশের প্রায় সবধরনের জাতীয় পুরষ্কারের প্রবর্তক তিনি। রাষ্ট্রে প্রতিটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ফিরে পেয়েছিল কর্মমুখর প্রাণচাঞ্চল্য। শহীদ জিয়া হয়ে উঠলেন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের একজন অবিসংবাদিত নেতা। ঠিক চল্লিশ বছর আগের এই দিনে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের স্বীকার হন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ...................... আজ আমার নেতার মহাপ্রয়ান দিবস। আজ আমার মন ভারাক্রান্ত। আজ আমি কাঁদবোনা, আজ আমার চোখের প্রতিটি অশ্রুবিন্দু রক্তবিন্দুতে রুপান্তরিত হোক বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ রক্ষার শপথে। রাখালরাজার দেশপ্রেম বুকে ধারণ করেই কাটিয়ে দিয়ে চাই একটা জীবন। আপনাকে সশ্রদ্ধ স্যালুট হে মহান নেতা। আপনার সমর্থক হিসেবে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি, গর্ব করে বলতে পারি আমাদের একজন জিয়া ছিলেন। কোটি মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসা পাঠিয়ে দিলাম আকাশের ঠিকানায়। যে জিয়া জনতার, সেই জিয়া মরে নাই। প্রয়াত সকল জাতীয় নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। শহীদ জিয়া অমর হউন, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। ভালবাসা অবিরাম...’

হাশেম খান লিখেন, ‘শহীদ জিয়া মানে রক্ত ঋণে অর্জিত স্বাধীনতা, শহীদ জিয়া মানে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ব্যাকুলতা, তুমি আছো তুমি থাকবে কোটি প্রাণের স্বাধীনতায়। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ( বীর উত্তম) এর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। মহান আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন, আমিন।’

ছবি শেয়ার করে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান লিখেন, ‘বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই রণাঙ্গনের এই বীর সেনানীকে, অকুতোভয় সৈনিককে, যার জন্মই আমাদের স্বাধীনতা।’

রাশেদ আদনান লিখেন, ‘তোমার কর্মেই তুমি মহান হে কোটি কোটি বাঙালীর রাখাল রাজা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি!’

আরএই প্রিন্স লিখেন, ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গ্রাম বিনির্মাণের অন্যতম রূপকার, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-অখণ্ডতার প্রতীক, বাংলাদেশের ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী জনগণের নয়নমনি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।’

টুইটারে ইভান ইবনে কবির লিখেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪০তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। হে আল্লাহ লক্ষ মানুষের প্রিয় নেতাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’

বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়ে টুইটারে রভিন খান লিখেন, ‘তুমি আছো তুমি থাকবে, কোটি প্রাণের স্বাধীনতায়!’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Burhan uddin khan ৩০ মে, ২০২১, ১২:৩৩ পিএম says : 0
May the Almighty Allah peace his soul & send him to paradize.During my College life in the year of '76 he came at Mymensingg town hall.We went there & sit beside him.He said he was a freedom fighter there during the war'71.He was a hero in the independence war & honest personality.On'81 when he died by the army,I was in Tripoli Libya .All libyans the were anxious.We have lost them & they will be forever reminder in our heart....
Total Reply(0)
Belal ৩০ মে, ২০২১, ৩:৫৬ পিএম says : 0
‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪০তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। হে আল্লাহ লক্ষ মানুষের প্রিয় নেতাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
Total Reply(0)
মোঃ+দুলাল+মিয়া ৩০ মে, ২০২১, ৭:০৭ পিএম says : 0
শহীদ জিয়ার অবদান সর্ব প্রথম কি ছিল কেউ কেউ আসলে এখনও জানে না, বিশেষ করে যাদের বয়স 35/হইতে 38 এরা জিয়া সম্পর্কে সব বিষয়ে অবগত নয়,এই জন্যই আমাদের যারা তরুণ বয়সের তাদের মধ্যে জিয়া কি ছিলেন,সামান্য সময় পাইয়া দেশের জন্য কি করেছেন তরুণী কেউ জানে না,আমার বয়স যখন (বারোবসর)তখন থেকে যাহা দেখিয়াছি তাহার কিছু প্রমান ==1/ক্ষমতায় আসতে না আসতে দেশে বন্যায় পুরা দেশ প্লাবিত,খাওয়া খাদ্যের সমস্যা জিয়া পদক্ষেপ নিলেন অন্য অন্য রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ করতে লাগলেন,সবাই জিয়াকে স্বাগত জানালেন,জিয়া পতি সবাই দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ জিয়া কে সহযোগিতা বিভিন্ন দেশ থেকে আংশিক সাহায্য প্রদান,জিয়া বলেছেন আমি সাহায্য নিতে চাই না ,নিতে চাই বিনিময়ে কি বিনিময়ে জানতে চাইলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র পতিরা ,জিয়া বলেছেন আমার দেশে অভাব থাকতে পারে, কিন্তু আমি ভিক্ষা নিবেনা ,আমার দেশে দক্ষজনগন আছে,আমার দেশ থেকে শ্রমিক পদে লোক নিয়ে কাজ করাইয়া আমাকে সাহায্য করা হউক,ঐ সময় বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি ছিলেন (জহিরুল ইসলাম)এখন ও ইতিহাসের পাতায় সেই জহিরুল ইসলামের 16তালা ভবন মতিঝিল পকিরাপুলের গলির দক্ষিন পাশে অবস্থিত আছে। জহিরুল ইসলামের সাথে জিয়ার সম্পর্ক ছিল ।তখন থেকেই বিদেশ পরিচয় ,যেমন আজ বহির্বিশ্বে আমাদের দেশের জনগণ কাজ করেন আজ যারা বিদেশে আছে তাদের বয়স 20হইতে 60পযন্ত আছে কিন্তু যাদের বয়স 20হতে 38 তাহারা কিছুই জানে না জিয়া কে জিয়া কি ছিলেন জিয়ার অবদান কি আমরা বর্তমানে বিদেশে কর্ম করি এই কর্মসংস্থানের বেবসতা কে করেছে এরা জানেনা যে জিয়াই ছিল প্রধান জিয়ার উচিলায় আজ প্রবাস থেকে কোটি কোটি মিলিয়ন বিলিয়ন টাকা উপার্জন করতেছে।কিন্তু কিছু অসাধু লোক জিয়ার নামে বিভিন্ন বদনাম করে জিয়ার নাম মুছে দিতে চায়।আমি আরো একটি চমত্কার কাজ দেখেছি জিয়ার এই কাজ টা যারা দেখেছেন তাহারা অবশ্যই জিয়া কে ভুলতে পারবে না ।এবং তাদের ছেলে মেয়েরা ও জিয়ার আদর্শ নিয়ে বড় হয়েছে কিন্তু ছেলে মেয়েরা ঐ সময় ছোট ছিল তাদের মা বাবা বলতে পারবে তারা কি ভাবে জিয়ার আদর্শে বড় হয়েছে।এখন বলিতেছি জিয়ার চমৎকার কাজ আমি দেখিয়াছি,সেই কাজ হইল খাল খনন ,বিদেশ থেকে গম এবং চাউল নিয়ে আসলেন,দেখেন বুদ্ধি জীবিদের কি মাথা জিয়া চিন্তা করলেন,দেশের অভাব দুর করতে হলে কৃষি ক্ষেত্রে জোর পদক্ষেপ নিতে হবে। জিয়া জনগণের পতি বললেন আমরা অভাবি অভাব দুর করতে হলে আমাদের কৃষি কে কাজে লাগাতে হবে সে জন্য খাল খনন করে পানি জমা করে রাখতে হবে।জিয়া কি করলেন সমস্ত বাংলাদেশের মাটিতে খাল খনন আরম্ভ করে দিলেন।এবংযে গম চাউল বিদেশ থেকে পাইয়াছেন জনগণের মাঝে বিতরণ শুরু করলেন কাজ করিলে গম চাউল পাবেন জনগণ জিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে কাজের বিনিময়ে খাদ্য এই ভাবে খাল খনন শেষ করেছেন এবং খাদ্য দিয়ে জনগণকে বাঁচাইয়াছেন।এবং বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধানের বীজ নিয়ে আসলেন,কৃষি আরম্ভ করলেন কৃষকদের বিনামূল্যে সার এবং বিভিন্ন ঔষধ দিয়ে সহযোগিতা করলেন।সমস্ত বাংলাদেশের মাটিতে আলহামদুলিললাহ পততেক কৃষকের গোলা ভরা ধান উঠে গেছে দেশের মানুষ বহু খুশি দেশে অভাব নেই। এই মুহূর্তে কিছু সংখ্যক দুষকৃতকারীরা জিয়া নির্মম ভাবে হত্যা করলেন। জনগণের সব আশা আকাঙ্খা মাটির সাথে মিশিয়ে দিলেন।আল্লায় তাদের বিচার করবে একদিন।যাক আরো একটি কথা বলতে চাই যারা 20থেকে 38 বসর বয়স হয়েছে তোমরা আমার আমার কথা গুলি একটু পড়বে ।এবং তোমাদের মা বাবা কে জিজ্ঞাসা করবে । মা বাবা এই লোকটি এই কথা গুলি লিখিয়াছে আসলেই কি সত্য না কি মিথ্যা। জিয়া ছিল গরিবদের বন্ধু জিয়া নিজেই মাটি কাটিয়া মাথায় নিয়ে প্রথম কাজ উদ্বোধন করেছেন। আমি মনে করি জিয়ার খাল খননের গম চাউল খাইয়া যে মা বাবা আমাদের জন্ম দিয়েছে। অবশ্যিই সেই জিয়া আমাদের মা বাবার নিকট যে রকম ইজ্জত ছিল ।আমাদের ও জিয়ার পতি ইজ্জত করতে হবে এবং জিয়ার কি আদর্শ ছিল মা বাবা কে জিজ্ঞাসা করতে হবে। আজ যারা জিয়াকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতেছে তাদের চিন্তা করতে হবে জিয়া সব কিছু করে যাওয়াতে আমরা আজ গোলা ভরা ধান পাইতেছি বিদেশী রেমিটেনস এর মাধ্যমে কোটি কোটি মিলিয়ন বিলিয়ন টাকা আসতেছে সেটা জিয়ার অবদান। আসসালামুআলাইকুম অরাহমাতুললাহ অবারাকাতু।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন