রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কর্ণফুলী নদীপথে ইজারাবিহীন বেপরোয়াভাবে বালি পাচার চলছে। নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালি চট্টগ্রামের ভাটির দিকে পাচার হচ্ছে। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বালি পাচারে সরকারের শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি বালি পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর দু’পাড়ের হাজার হাজার পরিবার অজানা আতঙ্কে রয়েছে। ইজারা ছাড়া বালি পাচারের বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে গত ৩ আগস্ট মো. হাছান মুরাদ ও মো. দেলোয়ার হোসেন লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মজুমদার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে বালি পাচার কয়েকদিন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় রাতের আঁধারে বালি পাচার অব্যাহত রাখে চোরাই পাচারকারী চক্র। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিলক বালি মহাল থেকে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালি অন্যত্র পাচার হওয়ায় সরফভাটা, শিলক ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন রোধে বসানো সরকারের কোটি কোটি টাকার সিসি ব্লক হুমকির মুখে রয়েছে। একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ বিভক্ত হয়ে বালি উত্তেলন রোজগারের টাকায় অসামাজিক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বালি পাচার রোধে উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকলেও কেউ মানছে না। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শন করে বীরদর্পে বালি পাচারের মহোৎসব রাজনৈতিক পরিচয়ে একাধিক সিন্ডিকেট লুটপাট চালাচ্ছে বলে স্থানীয় সরফভাটা গ্রামবাসী জানান। বালি পাচার বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে সরকারের শতকোটি টাকার উন্নয়ন সিসি ব্লক প্রকল্প বড় হুমকিতে। রাজনৈতিক গুটি কয়েক নেতার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের মহতি উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে। বালি পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিলে নদী ভাঙ্গন রোধ করা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন