শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

প্রশাসনের নজরদারি উপেক্ষা করে মহেশপুরে ৬ বাল্যবিয়ে

প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা

মহেশপুর উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি উপেক্ষা করে ঈদের লম্বা ছুটিতে এবার সেখানকার বিভিন্ন গ্রামে বাল্যবিয়ের ধুম পড়ে যায়। ঈদুল আজহার ছুটিতে ৬ জনের বিয়ের খবর পাওয়া গেছে। ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে সরকারী অফিস বন্ধ থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছেলে মেয়ের বয়স না হলেও অভিভাবকরা গোপনে বিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ সকল বিয়ে কাজী দ্বারা রেজিস্ট্রি না হলেও মৌলভী বা নোটারি পাবলিক দ্বারা বিয়ে সম্পন্ন করেছে যা আইনানুয়ায়ী অবৈধ। জানা গেছে, নাটিমা গ্রামের আব্দুল খালেকের ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে আইভির (১৬) গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসাদাহ গ্রামে বিয়ে হয়, ফতেপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে শিলা খাতুনের (১৬) গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে কোটচাঁদপুর উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামে পলাশের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। এছাড়া নিমতলা গ্রামের আজিজুরের ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সোনিয়া খাতুনের (১৪) গত ১০ সেপ্টেম্বর দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে বিয়ে হয়, নেপা ইউপির বাউলি গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে আরিফা খাতুনের (১৪) গত ৮ সেপ্টেম্বর ঝিটকিপোতা গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মোমিনুরের সঙ্গে বিয়ে হয়। পুরন্দপুর গ্রামের নুরু মন্ডলের মেয়ে খাদিজা খাতুনের (১৪) একই গ্রামের জামাল মন্ডলের ছেলে ওমর আলীর সঙ্গে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিয়ে হয়। মথুরা গ্রামের হায়দার আলীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রাহেলার গত শুক্রবার বিয়ের আয়োজন করা হলেও সেটি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বন্ধ করে দেন। এর আগে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান বাল্যবিয়ের ঘটনায় একাধিক বর ও হবু শ্বশুরকে জেল জরিমানা করেছেন। এসব কারণে অভিভাবকরা সরকারী লম্বা ছুটিতে কাজে লাগিয়ে তাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও মেয়ের বিয়ে দিতে পারলেন। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বাল্যবিয়ে অপরাধ। তারপরও লুকিয়ে বিয়ে দিলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন