নগরীতে ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল মোরশেদ চৌধুরীর আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পুলিশর সদর দপ্তরের নির্দেশনায় মামলার নথিপত্রও বুঝে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে গতকাল রোববার এই মামলায় গ্রেফতার আরাফাত হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আলোচিত এ মামলার অন্যতম আসামি পারভেজ ইকবালের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আরাফাত হোসেনকে গত ২৭ এপ্রিল গ্রেফতার করে ডিবি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেয়া হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আরাফাতের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার বিরোধিতা করা হয়। আদালত আরাফাতের জামিন আবেদন নাকচ করেন। মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
গত ৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকার বাসায় মোরশেদ চৌধুরী আত্মহত্যা করেন। তার আগে তিনি চার পৃষ্ঠার একটি ‘সুইসাইড’ নোট লিখে যান। এই ঘটনায় তার স্ত্রী ইসরাত জাহান চৌধুরী বাদি হয়ে গত ৮ এপ্রিল পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। মামলায় মোরশেদের দুই ফুফাতো ভাই জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, পারভেজ ইকবাল চৌধুরীসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও আটজন আসামি রয়েছেন।
মামলাটি প্রথমে পাঁচলাইশ থানা এবং পরে ডিবি তদন্ত করে। এরমধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করে মামলার বাদি অভিযোগ করেন পুলিশ তাদের সহযোগিতা করছে না। এই মামলায় নাম আসায় আলোচনায় আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরী। মামলার বাদি অন্যদের পাশাপাশি আত্মহত্যার পেছনে শারুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধেও মোরশেদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চাপ দেয়ার অভিযোগ করেছিলেন ইশরাত। যদিও শারুন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ বরাবর মোরশেদ চৌধুরীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার তদন্ত পিবিআইকে হস্তান্তরের জন্য আবেদন করেন মামলার বাদি ইশরাত জাহান। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২০ মে মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দেয়ার নির্দেশ দেন আইজি ড. বেনজির আহমেদ। গত ২৭ মে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ পেয়েছে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো। পিবিআই কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা জানিয়েছেন, পিবিআই পরিদর্শক কামরুল ইসলামকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খুব শিগগির মামলার তদন্ত শুরু হবে। অপরদিকে মামলার বাদিও সন্তোষ জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন এবার মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন