১৫ কেজির এসব সামগ্রী টয় ও কম্পিউটার বলে মিথ্যা ঘোষণায় আনা হয়
স্টাফ রিপোর্টার : হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫ কেজি ওজনের একটি বিশেষ হেলথ কেয়ার রোবট ও গোয়েন্দা ডিভাইস সামগ্রী জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে টয় ও কম্পিউটার সামগ্রী হিসেবে খালাসের চেষ্টাকালে সম্প্রতি এসব মালামাল জব্দ করা হয়। চালানটি চীন থেকে ইওয়াই ৯৬০ ফ্লাইটে ঢাকায় আসে।
গতকাল সোমবার পরীক্ষা শেষে কার্টনের মধ্যে বিশেষ এ রোবট ও গোয়েন্দা সামগ্রী পাওয়া যায়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর এয়ারফ্রেইটের ১ নম্বর গেইট দিয়ে খালাসের সময় গেইটের বাইরে থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩২৫ কেজি ওজনের ২৪টি কার্টন জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা। পণ্যটির চালানে ওই বিশেষ রোবট ছাড়াও ১২০টি স্মার্ট ওয়াচ (সিম সøট সংযুক্ত), ১০টি মিনি ডিজিটাল ও ২৫টি পেন ক্যামেরা (গোয়েন্দা ডিভাইস), ৬৩টি ইথারনেট সুইস, ২৫টি অ্যান্টেনা, ১৯টি বেজ স্টেশনসহ বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কিং সামগ্রী পাওয়া যায়। শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, চালানটির মধ্যে ১৫ কেজি ওজনের বিশেষ রোবট রয়েছে। খেলনা (টয়) ও কম্পিউটার সামগ্রীর ঘোষণা দিয়ে ৩০ আগস্ট ঢাকা কাস্টমস হাউজে এসব মালামালের বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয় (বিল অব এন্ট্রি নং ৬৯৬৯৯৯)। আমদানিকারক চট্টগ্রামের শাহ আমানত সিটি করপোরেশন মার্কেটের মেসার্স গ্লোবাল কমিউনিকেশন্স সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স কুম ট্রেডার্সের মাধ্যমে এই বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।
আমদানি নীতি অনুযায়ী মেডিক্যাল ডিভাইস হিসেবে এই রোবট ওষুধ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা ও নেটওয়ার্কিং ডিভাইসগুলো বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটির (বিটিআরসি) অনুমোদন ব্যতীত আমদানিযোগ্য নয়।
সূত্র আরো জানায়, রোবটের প্যাকেটের গায়ে ‘হেলথ কেয়ার রোবট’ লেখা। এতে রিমোট কন্ট্রোলসহ ক্যামেরা ও মিউজিক বক্স সংযুক্ত করা। এ বিশেষ রোবট উন্নত দেশে মেডিক্যাল সেবায় ব্যবহার হয়। তবে এর অপব্যবহার রোধে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়।
সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া ও প্রকৃত ঘোষণা না দিয়ে খালাসের চেষ্টা করায় শুল্ক আইন ভঙ্গ হওয়ায় এগুলো আটক করা হয়েছে। এখন শুল্ক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন