আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ববিতার সময় এখন বাসায়ই কাটছে। করোনার কারণে কেথাও বের হচ্ছেন না। এমনকি কানাডায় বসবাসরত তার একমাত্র ছেলে অনিকের কাছেও যেতে পারছেন না। এ নিয়ে তার মনখারাপ। তারপরও বাস্তবতা মেনে নিয়েই বাসায় থাকছেন। ইবাদত-বন্দেগী আর ইন্টারনেটে বিভিন্ন দেশের সিনেমা দেখে তার সময় কাটছে। ববিতা বলেন, করোনার এ সময়ে কেউই ভালো নেই। আমি প্রায় দেড় বছর ধরে ঘরে বন্দী জীবনযাপন করছি। বাইরে যাই না। কাউকে আসতেও দেই না। নিজের মতো করে সময় কাটাছি। তিনি বলেন, বলেন, ইবাদত-বন্দেগী আর বাড়ির কাজকর্ম করেই আমার সময় কাটে। সময় থাকলে পুরনো দিনের সিনেমা দেখি। আর্ট ফিল্ম দেখা হয় বেশি। সত্যজিৎ রায়, অপর্ণা সেন, শ্যাম বেনেগালসহ বড় বড় নির্মাতাদের সিনেমা দেখি। হলিউডের সিনেমাও দেখি। নেটফ্লিক্সে অনেক ভালো ভালো সিনেমা থাকে। তবে বাংলাদেশের সিনেমা খুব একটা দেখা হয় না। কারণ, এ সময়ের আমাদের সিনেমা খুব একটা ভালো লাগে না। একই ধারার গল্প আর গান। সিনেমার যে নাটকীয়তা এবং গল্পের মোড় থাকে তা দেখা যায় না। মানবিকতা এবং মূল্যবোধের প্রতিফলন নেই বললেই চলে। অথচ আমরা যখন সিনেমা করতাম তখন গল্পই ছিল প্রাণ। গল্পের বাঁকে বাঁকে দর্শক ডুবে যেতেন। আবেগ আর আনন্দে ভাসতেন। এখন সেই গল্প কোথায়? ববিতা বলেন, আমাদের সিনেমার দৈণ্য এখানেই। দর্শক গল্প দেখতে হলে যায়। নায়ক-নায়িকার নাচানাচি আর ফাইট দেখতে নয়। এগুলো গল্পের অনুসঙ্গ মাত্র। মূল উপাদান নয়। অথচ আমাদের সিনেমার মূল ধারাই যেন হয়ে পড়েছে গান আর দুই-চারটা ফাইট। এভাবে সিনেমা চললে দর্শক দেখবে কেন? আর এখন করোনায় সিনেমা নির্মাণ করা বোকামি। কারণ, এগুলো কোথায় দেখাবে? সিনেমা হলে দর্শক খুব একটা যাচ্ছে না। এতে নির্মাতারা সিনেমা নির্মাণ করতে পারেন, তবে তাদের লগ্নি উঠে আসবে না। এ অবস্থায় সিনেমা নির্মাণ করে লাভ কি! তবে সিনেমার বাজার ফেরাতে হলে নির্মাতাদের সময়ের সাথে তাল মেলাতে হবে। গল্প নিয়ে ভাবতে হবে। গতানুগতিক ভাবনা দিয়ে সিনেমা হবে না। দর্শক যদি আগে থেকেই জানেন, সিনেমার গল্প কি হবে, তবে তা তারা দেখবে কেন? সিনেমা হবে রহস্যাবৃত। দর্শক না দেখা পর্যন্ত এ সম্পর্কে কোনো ধারণা করতে পারবে না। এমন সিনেমা নির্মাণ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন