বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আরো ৮ জনের শরীরে করোনার ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত

যবিপ্রবির ল্যাব

যশোর ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে যশোরের আরো ৮ জন রোগীর শরীরে করোনা ভাইরাসের ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। যবিপ্রবি জানিয়েছে, শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে কারোরই ভারতে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক বা ইতিহাস নেই। তাঁদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও একজন নারী।

যবিপ্রবি সোমবার রাত সাড়ে দশটায় প্রেসরিলিজে এই তথ্য দেয়। মঙ্গলবার সকালে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন ভারতে গেছে কী গেছে না এটি তদন্ত ছাড়া আমার পক্ষে বলা যাচ্ছে না। যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ জানান, জিনোম সেন্টারে সোমবার জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে একদল গবেষক সিকুয়েন্সির মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় এ ধরণ শনাক্ত করেন। ইতিমধ্যে ভারতীয় ধরণ শনাক্তের বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, যশোরের স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

জিনোম সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৯ মে ৪ জনের নমুনা অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৩ জনের নমুনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এবং অপরজনের নমুনা ঝিকারগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যবিপ্রবির ল্যাবে পাঠানো হয়। সম্প্রতি ভারত ফেরত কোয়ারিন্টিনে থাকা পরবর্তী সময়ে পজিটিভ হওয়ার হার যশোর জেলায় গড়ে ১০ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশে উন্নীত হওয়ায় স্থানীয় সংক্রমন হয়েছে কি না সেটি জানার জন্য স্থানীয় ৩৬ জনের নমুনা সিকোয়েন্সিং করে ভারতীয় ধরণ শনাক্ত করা হয়।
যবিপ্রবির গবেষক দলটি জানান, ই১.৬১৭.২ নামের ধরণটি জিনোম সেন্টারে শনাক্ত করা হয়েছে। গত ৮ মে যবিপ্রবির ল্যাবে সর্বপ্রথম ২ জন করোনা রোগীর নমুনায় ভারতীয় এ ধরণ শনাক্ত করা হয়। যাশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত ভারত ফেরত ৫৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পায়।

ভারত ফেরত রোগীদের মধ্যে ৭ জনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়ান্ট ই.১.৬১৭.২ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে দুইজন করোনা পজিটিভ হয়েই দেশে আসেন। কেউ কেউ উপসর্গহীন অবস্থায়ও পজিটিভ হন। যবিপ্রবির ল্যাবে এ পর্যন্ত ভারত ফেরত ও স্থানীয়সহ ১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরণ শনাক্ত করা হলো। গবেষক দলটি জানিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর এ ধরণটি সর্বপ্রথম ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত এ ধরণটি ইতোমধ্যে বিশে^র ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরণটিসহ সকল ভারতীয় ধরণকে উদ্বেগের ধরণ বলে আখ্যা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতীয় এ ধরনটি যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে গেছে।

তারা জানিয়েছেন, ফাইজারের ভ্যাকসিন অন্যন্য টিকার তুলনায় ৩ থেকে ৬ গুণ অকার্যকর। ভারতের একটি হাসপাতালে এটি ৪৮ ভাগ পর্যন্ত এটি শনাক্ত হয়েছে। অ্যাস্ট্রোজেনেকা টিকার ক্ষেত্রে এটি ৬০ ভাগ কার্যকর। তাঁদের মতে, ভারতীয় এ ধরণটি ৫০ শতাংশের বেশি সংক্রমনের সক্ষমতা রাখে। ভ্যাকসিন পরবর্তী ‘সেরাম এবং মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি’ এ ধরণকে কম শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে পারে। সুতরাং মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর অধিবাসীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকার আওতায় আনার সুপারিশ করছে গবেষক দলটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন