বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ন্যাটো বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের হুঁশিয়ারি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২১, ৬:১৮ পিএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেনের সঙ্গে প্রথম কোনো বৈঠকের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে দেশটির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তুরস্ককে কোণঠাসা করতে চায়, তাহলে দেশটি এক মহামূল্যবান বন্ধু হারাবে। সামরিক জোট ন্যাটো’র সম্মেলনে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মধ্যে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। -এএফপি

মঙ্গলবার (১ জুন) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। ন্যাটো বৈঠকের আগেই দেশটির প্রতি এই হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। অবশ্য গত জানুয়ারিতে জো বাইডেন ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আঙ্কারার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম থেকেই তুরস্কের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং খারাপ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে’ সরব ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবারের সাক্ষাৎকারে আঙ্কারা-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘তুরস্ককে যারাই কোণঠাসা করতে চাইবে, তারা সবাই মহামূল্যবান এক বন্ধু হারাবে।’

গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পাননি জো বাইডেন। এমনকি প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে প্রথমবারের মতো ফোন করতেও বাইডেন সময় নেন তিন মাস। আবার তিন মাসের মাথায় এরদোগানকে প্রথম ফোন করলেও এর দিন দু’য়েকের মাথায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোম্যান সাম্রাজ্যের চালানো আর্মেনিয়ায় অভিযানকে গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন। তুরস্ক এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এবং দেশ দু’টির মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়।

২০১৬ সাল থেকে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টির আরও কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এর মধ্যে সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের প্রতি মার্কিন সমর্থনও উল্লেখ করেছেন তিনি। কুর্দি যোদ্ধাদেরকে তুরস্ক সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি প্রকৃতপক্ষে আমাদের মিত্র দেশই হয়ে থাকে, তাহলে তাদের কি সন্ত্রাসীদের পক্ষে থাকা উচিত, না কি আমাদের পক্ষে? দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা অব্যাহত ভাবে সন্ত্রাসীদের পক্ষেই কাজ করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Monirul Islam ২ জুন, ২০২১, ৯:১৭ পিএম says : 0
যুক্তরাষ্ট্র যে সব রাস্টের বন্ধু ছিল দুই একটা বাদে প্রায় সব গুলো কে ধ্বংস করে দিয়েছে।
Total Reply(0)
Zakir Aryan ২ জুন, ২০২১, ৯:১৭ পিএম says : 0
যুক্তরাষ্ট্র কে যে বন্ধু হিসেবে পেয়েছে তার আর শত্রুর দরকার নাই
Total Reply(0)
Ariyan Joy ২ জুন, ২০২১, ১১:০৯ পিএম says : 0
শান্ত হন আপনি,,,
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন