শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ম দর্শন

হযরত মুহাম্মদ (স.)- এর আদর্শ

আফতাব চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

আমাদের প্রিয়নবী (স.)-এর আগমনের মুহূর্তটি ছিল বিশ্বমানবতার জন্য এক অনাবিল ঈদ-মহামুক্তির মহোৎসব। তিনি এলেন, পৃথিবীর সভ্যতাকে বদলে দিলেন। শান্তি, সমৃদ্ধি ও অনুপম মানব সভ্যতা কায়েম করলেন। ইসলামের চিরন্তনবিধানের আলোকে তিনি আমাদের জন্য রেখে গেলেন এমন এক চিরায়ত আদর্শ, যার সত্যনিষ্ঠ অনুসরণ ও চর্চা সমাধান দিতে পারে আমাদের প্রতিটি সমস্যার।

হাজারো সমস্যার ঘূর্ণীবর্তে নিপতিত এই আধুনিক পৃথিবীর একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হলো-সামাজিক সন্ত্রাস। সমাজদেহের প্রতিটি শিরা-উপশিরায় এর প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে আজ। প্রশাসক, সমাজবিজ্ঞানী নির্বিশেষে সমাজের প্রতিজন সদস্য আজ সন্ত্রাসের এই অভিযান থেকে মুক্তির পথ খঁজছেন ও সমাধান পচ্ছেনা। এই প্রেক্ষাপটে আমরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর আদর্শের আলোকে এই সামাজিক সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ-নির্দেশনা নিতে প্রয়াস পাব। আজকে আমাদেরকে গোড়া থেকে চিন্তা করতে হবে যে, নৈতিক অবক্ষয় ও সন্ত্রাস কিভাবে জন্ম নেয় এবং এর বিস্তার ঘটে। এক কথায় সামাজিক ও মূল্যবোধে যখন ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, তখনই আসে বিপর্যয়। আর তাই সন্তানের সাথে মাতা-পিতার সম্পর্ক, ছাত্রের সাথে শিক্ষকদের সম্পর্ক, ব্যবসায়ীর সাথে তার অংশীদারের সম্পর্ক, বন্ধুর সাথে বন্ধুর সম্পর্ক-তথা সমাজের একজন সদস্যের সাথে আরেকজনের সম্পর্কের টানাপড়েন থেকেই জন্ম নেয় এক ধরনের বিকৃত মানসিকতা, যার চূড়ান্ত রূপ হয়ে ওঠে সর্বসংহারী সন্ত্রাস। এ প্রসঙ্গে মহানবীর একটি হাদিস খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেছেন : নিজের ক্ষতি করতে পারবে না, অপরের ক্ষতিও না। আরেক বাণীতে তিনি বলেন : অপরের জন্য তাই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য কর।

মহানবীর জীবনে এ হাদীসের বাস্তবায়ন কীভাবে ঘঠছে তা দেখতে পাই আমরা একটি ঘটনায়। তিনি মসজিদে নববীতে বসে আছেন। এমন সময় এক যুবক এসে বলল : ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি ইসলামের সব কিছুই মানতে প্রস্তুত আছি, তবে ব্যভিচার ছাড়তে পারব না।’ উপস্থিত সাহাবীগণ স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। কিন্তু মহানবী (স.) তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করার জন্য খুবই দরদভরা অথচ দৃঢ় কণ্ঠে বললেন : শোন, তুমি যার সাথে যিনা-ব্যভিচার করবে সে নিশ্চয়ই কারো বোন, কারো বা কারো মা, খালা, ফুফু হবে তাই না? সে উত্তরে বললো, হ্যা। তিনি বললেন, তাহলে এবার বল, তুমি কি রাযী যে তোমার বোনের সাথে কেউ এই কাজটি করুক? সে বলল, অবশ্যই আমি তা সহ্য করব না। এভাবে রাসুলুল্লাহ্ (স.) তাকে তার কয়েক ধরনের মহিলা আত্মীয়ের কথা বললেন। সে প্রতি বারই বললো-তা আমি অবশ্যই সহ্য করব না। এক পর্যায়ে সে বলে উঠল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! এখন আমার মন থেকে এই জঘন্য অপরাধের প্রবণতা দুর হয়ে গেছে।”

এখানে আমরা দেখলাম যে, একটি অপরাধ-মনস্ক ব্যক্তিকে তিনি মানসিকভাবে পরিশুদ্ধ করার জন্য তাকে অপরাধের শিকারের পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে নিজেকে ভাবতে দিলেন। নিজের জন্য যা গ্রহণযোগ্য নয় অপরের উপর তা চাপাতে গেলে এক সময় নিজেও এর শিকার হতে হবে। আমরা যদি আমাদের সমাজের পথভ্রষ্ট লোকদের মহানবীর এই প্রক্রিয়ায় মানসিক পরিচর্যা করতে পারি তাহলে আশা করা যায় তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আবার স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরে আসবে। এখানে আমাদের আরেকটি বিষয় চিন্তা করতে হবে যে, একটি যুবক তার যৌবন উদ্দাম শক্তিকে কেন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারল না। সে তো নিষ্পাপ অবস্থায় জন্ম নিয়েছে। মাতা-পিতার নিয়ন্ত্রণ পারিবারিক পরিমন্ডলে। সে বেড়ে উঠেছে অনেক বছর। মাতাপিতার কি কিছু দায় দায়িত্ব নেই?

মহানবী (স.) বলেন, ‘‘প্রতিটি নবজাতক স্বভাবধর্মেই জন্ম লাভ করে। তারপর তার বাপ-মা তাকে ইয়াহুদী বানায়, নাসারা বানায় বা অগ্নিপূজক বানায়।” এজন্যই দেখা যায়, যুব-মানসে যে সন্ত্রাসী মনোভাবের জন্ম নেয়, তা পরিবারে উপযুক্ত অভিভাবকত্ব, যতœ ও শিক্ষার অভাবেই হয়ে থাকে। মা-বাবার পরস্পরের ভুল বোঝাবুঝির প্রভাব পড়ে কোমলমতি সন্তানের মনসিকতায়। আবার পারিবারিক বন্ধনে ভারসাম্যহীনতা থেকে এক ধরনের অস্বাভাবিকতা জন্ম লাভ করে। পারিবারিক ও সামাজিক অধিকারে বঞ্চনা পেতেও এক সময় যুব-মানস বিগড়ে যায়। যেখানে ক্ষত সেখানেই মলম লাগাতে হয়। তবে কথা আছে-চৎবাবহঃরড়হ রং নবঃঃবৎ ঃযবহ পঁৎব.

এজন্যই মহানবী (স.) বলেছেন : ‘‘তোমাদের সন্তানদের সাথে সম্মানবোধের মাধ্যমে আচরণ কর এবং তাদেরকে আদব মূল্যবোধ শেখাও।” মহানবী (স.) শিশুদের সাথে এমন ভাবে আচরণ করতেন যাতে তদের মনে কোন বঞ্চনা বা হতাশার সৃষ্টি না হয়। তিনি একবার প্রিয় দৌহিত্র হাসান ও হোসেন (রাঃ)-কে চুমা দিলেন। পাশেই ছিল পালিত পুত্র যায়দ-এর শিশু পুত্র উসামা, তাকেও চুমা দিয়ে সমতা বিধান করলেন। এ সবই আমাদের শিক্ষণীয়। সন্ত্রাসের অঙ্কুর যেন গজাতে না পারে, সে জন্য মাতা পিতাকে সদা সতর্ক থাকতে হয়। উঠতি বয়সে সমাজের নানা ধরনের চরিত্রের মানুষের সাথে পরিচয় ঘটে। তখন অভিভাবকদের উচিত তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া। কোন সমাজ গঠনমূলক কাজে উৎসাহিত করা। কারণ যৌবনের স্বাভাবিক আবেদন অনুযায়ী যুবকরা কিছু করতে চায়। ভাল কাজে নিয়োজিত না হতে পারলে খারাপের দিকে চলে যায়।

মহানবী (স.) তাঁর যৌবনের প্রারম্ভে ‘‘হিলফুল ফুযুল” নামক একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলেন। আমাদের যুব সমাজকে যদি আমরা এ ধরনের সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত করতে পারি, তাহলে তারা অন্তত ঃ নিজেরা তো ভাল থাকবেই, আত্ম-কর্মসংস্থান মূলক সংগঠনে জড়িত থাকলে বেকারত্ব দুর হওয়ার সাথে সাথে তারা নিজের ও দেশের ভাগ্য গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবে। যুব সমাজ বিপথগামী হয় প্রধান ঃ সঙ্গদোষে। মহানবী (স.) বলেন ঃ “মানুষ তার সহচরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়। কাজেই তোমাদের কেউ বন্ধুত্ব করার সময় ভাল করে দেখে শুনেবন্ধুত্ব করবে।” (মুসনাদে আহমদ)---

অপর হাদীসে তিনি বলেন, ‘সৎসঙ্গী ও অসৎসঙ্গীর দৃষ্টান্ত হচ্ছে সুগন্ধি বহনকারী ও লোহার হাপর চালনাকারীর মতো। সুগন্ধির বাহক হয় তোমাকে কিছু দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে কিছু ক্রয় করবে অথবা অন্তত তার সুঘ্রাণ তো পাবে। পক্ষান্তরে, হাপর চালানেওয়ালা হয় তোমার পোশাক পুড়িয়ে দেবে অথবা কমপক্ষে তুমি দুর্গন্ধ তো পাবে।” (বুখারী মুসলিম)

সমাজে সন্ত্রাসী হিসাবে যারা কুখ্যাত, তাদের এ কাজে হাতেখড়ি হয়েছে কোন বিপথগামী বন্ধুর কাছে। যে যুবক মাদক দ্রব্যে আসক্ত হয়ে মৃত্যুর গুহার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, সে এই সর্বনাশা নেশা করা শিখেছে তার কোন সহযাত্রী বা সহচরের প্রভাবে। এই মাদক দ্রব্য তাদেরকে একই আস্তানায় অদৃশ্য সুতোয় গেঁথে নিয়েছে। এর জন্য অন্যের উপর হয়ে চাঁদা আদায় করতে বড় বেরহমভাবে। আবার দলের কেউ আক্রান্ত হলে তাকে ছাড়িয়ে আনতে পথের কাঁটা সরিয়ে দিচ্ছে। এতে প্রয়োজন খুন, জখম করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। আল্লাহর নবী এ সম্পর্কে সম্যক সচেতন। তিনি বলেন, “তোমাদের ভালবাসা যেন উন্মাদনার রূপ ধারন না করে এবং তোমার শত্রæতা যেন উৎপীড়নের পর্যায়ে না পৌঁছে।” (আল আদাবুল মুফরাদ) আজ আমরা একই সমাজে বাস করেও অতি তুচ্ছ স্বার্থের দ্ব›েদ্ব পড়ে প্রতিপক্ষকে চরমভাবে ধক্ষংস করার নির্দয় আচরন লক্ষ্য করছি। পরস্পরের মধ্যে সংশয় ও সন্দেহ আমাদের সমাজ জীবনকে অস্থির করে তুলছে। অনেক সময় এ-ও দেখা যায় যে, একটি উড়ো কথায় রেশ ধরে ঘটে যায় অনেক অঘটন। অথচ দেখুন, আমাদের প্রিয়নবী (স.) কি বলেছেন, “কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়।” তিনি আরো বলেন, “কু-ধারণা পোষন করবে না, আর অনুমান নির্ভর কু-ধারণা সবচে বড় মিথ্যা কথা।”

আমাদের সামাজিক ভারসাম্য আজ এ সব কারণেই বিঘিœত। সামাজিক বন্ধন যদি এই সব কারণে ঢিলে হয়ে যায়, তাহলে সামাজিকভাবে অন্যায়ের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা লোপ পায়। সমাজের লোকেরা যদি পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস ও ভাল ধারণা পোষণ করতে পারে, সেখানে শান্তি ও সমৃদ্ধি স্থিতিশীল হয়। মহানবী (স.) বলেন, “তোমার ভাইকে দেখে তুমি স্মিতহাস্য উপহার দিলে তা হবে সদকার সাওয়াব তুল্য।” তিনি আরো বলেন, “মুমিনের বৈশিষ্ট হলো উজ্জ্বল অবয়ব-হাসিমুখ।”

কিন্তু কথা হচ্ছে যেখানে সমাজের অত্যন্ত গভীরে সন্ত্রাস তার মূল বিস্তার করে সেখানে এটা কি এত সহজেই উপড়ানো সম্ভব? এর উত্তর আগেই বলেছি যে, ভারসাম্য সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে পরস্পরের মধ্যে, সর্বক্ষেত্রে। খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, ডাকাতি ত্রাস সঞ্চার করা ইত্যাকার যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আমাদের সমাজে চলছে, তা কেবল পুলিশী ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন সকলের সার্বিক সহযোগিতা। পরিবারের অভিভাবক, মসজিদের ইমাম সাহেব, স্কুলের শিক্ষক, সমাজে সমাজপতিরা যদি স্ব স্ব দায়িত্ববোধ নিয়ে এগিয়ে আসেন তাহলে সন্ত্রাস এভাবে ডালপালা বিস্তার করতে পারবে না। আল্লাহ রাসূল (স.) বলেছেন, ‘‘পরস্পরকে উত্তম ও পরিচ্ছন্ন কাজে সহযোগিতা কর, পাপ ও সীমা অতিক্রমী কোন কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না।” আজ আমাদের কোন পথিক রাস্তার চলমান জন¯্রােতের মধ্যেও কোন ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে আর্তচিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসে না, আসতে সাহস করে না। জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধ প্রয়াসের সামনে সন্ত্রাসীর আগ্নেয়াস্ত্র ভোঁতা এটা প্রমাণ করার সময় এসেছে। সন্ত্রাসীদের সামাজিকভাবে বয়কট করাও একটি অস্ত্র হতে পারে। তবে মহানবী (স.)-এর অনুসরণে আমরা যদি সত্যিকারভাবে এ সব লোকদের দাওয়াত দিতে পারি তাহলে তারা ফিরে আসবে। সাথে সাথে যদি সে সব কারণ দুরীভুত করা যায়, যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সন্ত্রাস জন্ম দেয় বা লালন করে তাহলে এ সমস্যার সমাধান কোন কঠিন কাজ নয়।

মহানবী (স.) যেসব লোককে তাঁর অনুপম আদর্শে উজ্জীবিত করে সোনার মানুষ করেছিলেন, তারা এক সময় ছিল দাগী সন্ত্রাসী ও জঘন্য অপরাধী। নিজের শিশু কন্যাদের তারা নিজ হাতে জ্যান্ত কবর দিত, তারা লুন্ঠন করেই জীবিকা নির্বাহ করতো, খুন আর ব্যভিচার ছিল তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। সমাজে যদি বিচারপ্রার্থীকে নাজেহাল হতে না হয়, মজলুমের হক যদি ফিরে পাবার ব্যবস্থা হয়, উৎকোচের মাধ্যমে যদি নিরপেক্ষতা বিঘিœত না হয়, সর্বোপরি কারো ন্যয় অধিকারের নিজস্ব শক্তিতেই প্রতিষ্ঠা পায়, তাহলে পেশী শক্তির প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যাবে। নবীজী যেভাবে বেকার সাহায্য প্রার্থীকে তার কম্বল বেচা অর্থ দিয়ে কুড়াল কিনে নিজে হাতল লাগিয়ে দিয়েছিলেন, সেভাবে যদি নিজের কিছু পুঁজি আর সরকারী সহায়তায় আত্মকর্ম সংস্থান প্রকল্পের আওতায় যুব সমাজকে আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে সন্ত্রাস আপনা আপনিই দুর হয়ে যাবে। আমাদের যুব সমাজের মধ্য থেকে হতাশা দুর করে বিশ্বাসের চেরাগ জ্বালাতে হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, ‘‘তোমরা হতবল হয়ে না, হতাশ হয়ো না, তোমরাই তো সুউচ্চ, যদি তোমরা বিশ্বাসী হয়ে থাক।”

বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে কাজ করে যেতে হবে সবাইকে। আল্লাহ তা’আলা বলেন, আপনি তাদের বলে দিন-হে রাসুল! তোমরা কাজ করে যাও, অচিরেই আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং মুমিনগণ দেখবেন।”তাই আমাদের কাজ করে যেতে হবে। সন্ত্রাস কোন কাজ নয়, এটা হচ্ছে অপকর্ম। রোগান্বিত হয়ে শক্তি প্রদর্শন করা কোন বীরত্ব নয়। মহানবী (স.) বলেছেন, ‘‘যে ক্রোধের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারে সেই প্রকৃত বীর।” তিনি আরো বলেন, “মুসলিম তো সেই, যার হাত ও মুখ থেকে মুসলমানরা নিরাপদ থাকে।” একজন মুসলমান যদি প্রকৃতই তাঁর নবীর অনুসারী হয়, তাহলে অন্যায়ভাবে সে কোন মানুষ এমন কি পশু-পাখিরও এতটুকু ক্ষতি করতে পারে না।
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন