আফ্রিকার দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর থেকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পানি সঙ্কট। প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে চ্যারিটি মেডিসিন্স সান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেখানে কলেরার মারাত্মক ঝুঁকি থাকায় জরুরি ভিত্তিতে লোকজনের বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলীয় গোমা শহরে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। গত ২২ মে মাউন্ট নিরাগঙ্গ থেকে ঝর্ণার মতো লাভা নির্গত হতে থাকে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় একটি জলাধার এবং বেশ কয়েকটি পানির পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বলে পানির সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠেছে। অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে পাঁচ শতাধিক বসতঘর। এখনও ১৭০ শিশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। এখনও হাজার হাজার মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফিরে যেতে পারছেন না। কঙ্গোতে এমএসএফ’এর প্রধান মাগালি রাউদাউত বলেন, আমরা বাস্তুহারা লোকজনের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু এটা যথেষ্ঠ নয়। তিনি বলেন, অন্যান্য সংস্থাকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। মাগালি রাউদাউত বলেন, তাদের টিম কাছাকাছি সেক শহরে চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ওই শহরে বিভিন্ন গির্জা, স্কুল, মসজিদ এবং রাস্তা-ঘাটে এক লাখ থেকে দেড় লাখের বেশি মানুষ অবস্থান করছে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন