সোমববার , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বন্দরে ইউপি সদস্য লাঞ্ছিত, ডিবি পুলিশকে উৎকোচ দিয়ে মুক্তি

প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : বন্দরে এক সাবেক ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিত করে ৪ ঘণ্টা আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকায় ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। ছেড়ে দেয়ার পর রফাদফার বাকি দেড় লাখ টাকা আদায় করতে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত এসআই সেলিম ও আসাদুজ্জামান আসাদ। গত রোববার দুপুরে মদনপুর লাউসার এলাকায় অবস্থিত রুবেলের ডিস অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, জেলার সিদ্দিরগঞ্জ পাঠানতলী এলাকার আবুল হাসেম মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিলু ওরফে ছোট দেলু গত রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে একটি ভাড়া প্রাইভেটকার নিয়ে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউপির লাউসার গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে রুবেল প্রধানের কাছে ব্যবসায়ীক লেনদেন তাগাদা দিতে তার ডিস অফিসে যায়। এসময় ডিবি পুলিশের এসআই সেলিম ও আসাদুজ্জামান আসাদ সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে মামলার আসামী দেলুকে ধরতে ডিস অফিসে অভিযান চালায়। এসময় ডিস অফিসে বসে থাকা জাহাঙ্গীর, দেলুর প্রাইভেটকারের চালক আমিনুল ইসলাম ও ওই এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম মনাসহ তারা ৩জন দেলুকে গ্রেপ্তারের কারন জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দেলুর সঙ্গে ওই তিনজকে আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা। এর পর কাঁচপুর নুরআলম খানের সিএনজি পাম্পে বিনা কারণে ৪ ঘন্টা আটক রেখে মনা মেম্বারের কাছে ৫ লাখ উৎকোচ দাবি করে। অন্যথায় তাকে মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে হাড়গোড় ভেঙে দেয়ার ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। ওই মুহূর্তে নিরুপায় হয়ে দুই লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাস দেয়। আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধার করে এনে নগদ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পায়।
মনা মেম্বার জানান, বাড়ির ডিস লাইনের সমস্যা হওয়ায় লাইন মেরামতের জন্য ডিস অফিসে যাই। ওই অফিসে বসে থাকা অন্যদের সঙ্গে আমাকেও ডিবি পুলিশের গাড়িতে তুলে নেয়। পরে কাঁচপুর একটি সিএনজি পাম্পের সামনে গাড়ি রেখে তারা আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করে। ওই রফাদফায় আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে লাঞ্ছিত করে জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে নিরুপায় হয়ে দুই লাখ টাকা দিতে স্বীকার হই। পরে আতœীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধার দেনা করে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার পর ছেড়ে দেয়। পরে বাকি দেড় লাখ টাকার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে।
এ ব্যপারে ডিবি পুলিশের দুই উপ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান আসাদ ও সেলিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে তারা দুইজনই অস্বীকার করে বিষয়টি এরিয়ে যান।নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহামুদ বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে ঘটনাটি দেখছেন। তিনি অভিযানে আছেন বলেই মোবাইল ফোনের লাইনটি কেটে দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন