শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সুন্দরগঞ্জের কাশিম বাজারে তিস্তার ভাঙ্গনে দুই শতাধিক বসতবাড়ি বিলীন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০২১, ৪:২৭ পিএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাশিম বাজারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে দুই শতাধিক পরিবারের বসত বাড়ি। অবিরাম বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন এলাকায় জিও ব্যাগ ও বালির বস্তা ফেলা হলেও তা কোন কাজে আসছে না।। ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে হাজারও বসতবাড়ি। শঙ্কায় রয়েছে নদী পাড়ে বসবাসরত পরিবারগুলো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়সারা গোছের পদক্ষেপ থামাতে পারছে না তিস্তার ভাঙন। অব্যাহত ভাঙ্গনে চলতি মৌসুমের নানা প্রকার ফসলসহ আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে। লাগাতার ভাঙ্গনে নাকাল হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। ভাঙনের মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাজারও একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। হরিপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজারসহ কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসি তিস্তানদী প্রতি বছর তার গতিপথ পরিবর্তন করার কারণে একাধিক শাখা প্রশাখার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওইসব শাখা-প্রশাখাগুলোতে তীব্র স্রোতে দেখা দিয়েছে। এ কারণে তিস্তার বালু চরের সবুজের সমারোহ ও বসতবাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। বর্তমানে তিস্তার চরাঞ্চলে বাদাম, পাট, বেগুন, মরিচসহ নানাবিধ শাক-সবজির উঠতি ফসলের সমাহার দেখা দিয়েছে। কিন্তু সর্বনাশা তিস্তার পেটে যাচ্ছে সে ফসল। কথা হয় কাশিম বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলাম রঞ্জু মিয়ার সাথে। তিনি বলেন গত দুই সপ্তাহের ব্যাবধানে কাশিমবাজার গ্রামের কমপক্ষে দুই শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি বিলিন হয়ে গেছে নদী গর্ভে। তিনি বলেন যে হারে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে, তাতে করে আগামী ১০দিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহি নাজিমাবাদ বিএল উচ্চ বিদ্যালয় রক্ষা করা যাবে না। তিনি বিদ্যালয়টি রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তার ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ভাঙ্গন রোধে এখন পর্যন্ত জোরালো কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি। ভাঙন কবলিত পরিবাগুলোর আশ্রয় নেয়ার মত জায়গা নেই । উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার কয়েক স্থানে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন