শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জুলাইর মধ্যেই লেবুখালী সেতুর কাজ শেষ হচ্ছে- প্রধান প্রকৌশলী

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০২১, ৪:৪০ পিএম

ঢাকা-ফরিদপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপর প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ কাজ আগামী মাসেই শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সড়ক অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর। শুক্রবার সেতুটির নির্মাণ কাজের শেষ পর্যায় পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। ইতোমধ্যে সেতুটির ভৌত অবকাঠামোর ৯৫% কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে এখন ডেকিং-এ বিটুমিনাস কার্পেটিং সহ সংযোগ সড়কে ওয়রিং কোর্স-এর কাজ চলছে। এসব কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করার লক্ষে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, অক্টোবরে কাজ শেষ করার সময়সীমা থাকলেও আমরা চীনা নির্মান প্রতিষ্ঠানকে জুলাই-এর মধ্যে তা শেষ করতে বলেছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে তা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী।

কুয়েত ও বাংলাদেশ সরকার ছাড়াও ওপেক-এর প্রায় ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যায়ে লেবুখালী সেতুটি নির্মিত হচ্ছে।

‘প্রী-স্ট্রেসড কংক্রিট বক্স গার্ডার’ পদ্ধতির এ সেতুটির নকশা করা হয়েছে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় কর্ণফুলী সেতুর আদলে। বাংলাদেশ, চীন ও কুয়েতের যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান- ‘আইসিটি-কুনহুয়া-নারকো-ইপিসি-জেভি’র প্রকৌশলীদের তত্বাবধানে চীনের ‘লংজিয়ান রোড এন্ড ব্রীজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানী সেতুটি নির্মান করছে। লেবুখালী সেতুটি চালু হলে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর ছাড়াও দেশের সবগুলো স্থল বন্দরকে যূক্ত করবে। এ সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটায় পৌছতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৭ ঘন্টা। এমনকি উত্তরবঙ্গের সাথেও সাগর পাড়ের কুয়াকাটার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করবে লেবুখালী সেতু।

মূল চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯-এর এপ্রিলে সেতুটির নির্মান কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও ‘আম্পান’, ‘বুলবুল’ ও ‘করোনা’র মত প্রকৃতিক দূর্যোগে তা দু বছর পিছিয়েছে। শুক্রবার নির্মানকাজ পরিদর্শনকালে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আবদুল হালিম ও বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু হেনা তারিক ইকবাল, তত্ববধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ ও মোঃ মাসুদ খান ছাড়াও বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন সহ অধিদপ্তরের উর্ধতন প্রকৌশলীগন উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন