উত্তর : সাধারণত এমন ব্যক্তিদের টাকা পয়সা, খাদ্য বা বস্তু ব্যবহার না করাই উচিত। যেহেতু তার জীবিকা হালাল নয় বলে আপনি জানেন, তাই তার দেওয়া উপহারও এড়িয়ে চলা কর্তব্য। তবে, যদি উপহারটি গ্রহণ বা ব্যবহার না করলে সামাজিকভাবে বিবাদ লেগে যায়, তাহলে এসব অশান্তি এড়ানোর জন্য উপহার গ্রহণ করতে পারবেন। আর যদি আপনার শক্তি ও প্রভাব এমন থাকে যে, এটি ফিরিয়ে দিলে সেই ব্যক্তির সুদ ছেড়ে দেওয়ার এবং হালাল জীবিকার পথে ফিরে আসার সুযোগ থাকে, তাহলে দাওয়াত ও সংশোধনের পথে এগিয়ে যাবেন। আপনার এই শুভ কামনা ও দাওয়াতে যদি এক ব্যক্তি সুদ থেকে ফিরে আসে, তাহলে এটি বড়ই সাহসিকতা ও কল্যানের কথা। এখানে তৃতীয় আরেকটি পথ আছে সেটি হল, আপনার উপহারটি সুদী আয় থেকে নাও হতে পারে, যদি তার হালাল উপার্জনও থেকে থাকে, আর আপনি বুঝে নেন যে, তিনি আপনাকে সুদী আয় থেকে এটি দেননি, তাহলে হারাম উপার্জনকারী ব্যক্তির দেওয়া সামান্য কিছু খাদ্য, পানীয় বা উপহার গ্রহণ করার সুযোগ থাকে। তবে, পরহেজগার ব্যক্তিরা সতর্কতামূলক হারাম উপার্জকারীর সবকিছুই এড়িয়ে চলে। বাধ্য হয়ে সামাজিকতা রক্ষায় কোনো কিছু খেলে বা নিলে এর মূল্য গরীব মিসকিনকে দান করে দেন। সবক্ষেত্রে সন্দেহজনক বস্তু এড়িয়ে চলা তাকওয়া বা পরহেজগারী।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন