শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বৃষ্টি হলেই ডুবছে ঢাকা

দুই সিটি মেয়রের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ভেসে গেল পানিতে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজধানীতে পানিবদ্ধতা দূর করতে বছর বছর মন্ত্রী, মেয়ররা নানা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিলেও তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মন্ত্রী মেয়র পরিবর্তন হলেও রাজধানীর পানিবদ্ধতার চিত্রের পরিবর্তন হচ্ছে না। বরং দিন দিন খারাপ হচ্ছে। গতকালও রাজধানীতে তুমুল বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে বেশিরভাগ এলাকার রাস্তা। কোথাও হাটু, আবার কোথাও কোমর পানি। ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে পানিতে ডুবে যায় বেশ কয়েকটি মূল সড়ক। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, ভাটারা, মগবাজার, মতিঝিল, নিউমার্কেট, পুরান ঢাকা, যাত্রাবাড়ি, ডেমরাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশিরভাগ রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় প্রচন্ড যানজট। এতে অফিস যেতে এবং বাসায় ফিরতে দুর্ভোগে পড়েন চাকুরিজীবিরা। এছাড়া কর্মজীবী সাধারণ মানুষও সংকটে পড়েন। আবার অনেকে পানিবদ্ধতার কারণে বাসা থেকেই বের হতে পরেননি। পানি ঢুকে যায় বেশ কিছু বাসার নিচতলায়। কিছু এলাকায় দোকানপাটেও পানি প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তার ওপর গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে পানিজটের পাশাপাশি যানজটও তৈরি হয় এসব এলাকায়।

ঢাকা শহরের পানিবদ্ধতা দীর্ঘ দিনের। প্রত্যেক বর্ষা মৌসুমেই জলজটে নাকাল হতে হয় নগরবাসীকে। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় পুরো শহরের রাস্তাঘাট। তখন আলোচনায় আসে ঢাকার জলাবদ্ধতার কারণ ও নিরসনের উপায়। পানিবদ্ধতা থেকে দ্রুতই মুক্তি মিলবে বলে প্রতি বছর আশ্বস্ত করা হয় দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। বর্তমান দুই সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। চেষ্টাও করে যাচ্ছেন কিন্তু বাস্তবে কাজের অগ্রগতি নেই। বৃষ্টি হলেই ডুবে যাচ্ছে ঢাকা শহর।

মিরপুরের শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা আনিসুর রহমান জানান, বৃষ্টি হলে আগেও যেমন এই রাস্তায় হাটু পানি হতো এখনো হাটু পানি জমছে। বছর বছর শুধু টেলিভিশনে মেয়র মন্ত্রীদের প্রতিশ্রুতি শুনে যাচ্ছি। ডেমরার বাসিন্দ সফিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনে এই এলাকা অধিভুক্ত হবার আগে ও পরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। নেই কোন উন্নয়ন। বেশিরভাগ রাস্তায় কোমড় পানি। মেয়র পরিবর্তন হয় কিন্তু পানিবদ্ধতার পরিবর্তন হয় না।
দক্ষিণখানের বাসিন্দা মোশারফ রিজান বলেন, প্রতি বছর মেয়রদের প্রতিশ্রুতি শুনি সামনের বছর পানিবদ্ধতা থাকবে না। প্রতিশ্রুতি শুনতে শুনতে অর্ধযুগ চলে যাচ্ছে। মগবাজারের মধুবাগের বাসিন্দা হাবিব রহমান বলেন, বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে রাস্তায়। মেয়রদের আশ্বাসে এখন আর ভরসা করি না, উপর থেকে আস্থা উঠে গেছে। প্রতিবছর একই কথা শুনতে আর ভাল লাগে না। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই নিজ বাড়ির সামনে ও রাস্তার পানিবদ্ধতার ছবি পোস্ট করে সরকার ও মেয়রদের সমালোচনা করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে ওয়াসার দায়িত্বে থাকা রাজধানীর সব নালা ও খাল দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে ‘বহুলাংশে’ মুক্তি দেবে বলে আশ্বস্ত করে। কিন্তু গত ১ জুন ও গতকাল ৫ জুন বৃষ্টিতে সংস্থা দুটির দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি পায়নি ঢাকাবাসী। নগরবাসী বলছেন, পানিবদ্ধতা নিরসনের আশা দেখিয়েও কথা রাখতে পারেনি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন বলছে, জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ খালগুলোর অবৈধ দখল। অধিকাংশ খাল দখল হয়ে যাওয়ায় পানি প্রবাহ ঠিক না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে আরও সময় লাগবে।
গতকাল আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক জানান, ঢাকায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সময়ে ঢাকায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত ১ জুন চলতি বছরের প্রথম ভারী বর্ষণে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। সেদিন ৮০ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছিল ঢাকায়। গতকাল বৃষ্টির পরিমাণ আরো বেশি হওয়ায় দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে যায়।

উত্তরার স্কলাস্টিকা স্কুলের সামনের রাস্তা ডুবে যায়। দক্ষিণখানের আসকোনা বাজারে ছিল কোমরপানি, দক্ষিণখান বাজার পুরোটাই ডুবে যায়, আইনুছবাগের অনেক বাসায় নিচতলায় পানি ঢুকে যায়। মোল্লারটেক, আজমপুর কাচাবাজার, দেওয়ানবাড়ি পানিতে ডুবে যায়। তুরাগ এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাই ডুবে যায়। উত্তর বাড্ডা, আলীর মোড়, পুর্বাঞ্চলের প্রত্যেকটি রাস্তায় হাটু পানি জমে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। মিরপুরে মেট্রোরেলের জন্য খারাপ রাস্তার মধ্যে তৈরী হয় হাটু পানির জট। ধানমন্ডি নিউমার্কেট, বাংলামোটর এলাকার অবস্থার চিত্রও ছিল একই। এদিকে ডেমরার নিচু এলাকাগুলোতে অনেক জায়গায় কোমর পানি জমে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। মগবাজার এলাকার মধুবাগ, মালিবাগ চৌধুরী পাড়া বেশিরভাগ বাড়ির নিচ তলায় পানি ঢুকে যায়।

গত ১ জুন বৃষ্টির পর পানিবদ্ধতার বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, অতীতের মত ঢাকাবাসীকে গলাপানিতে নাকাল হতে হয়নি।
কেন জলাবদ্ধতা থেকে মিলছে না মুক্তি?
ঢাকা মহানগরীতে প্রধান ড্রেন লাইনগুলো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার। আর শাখা লাইনগুলোর দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের ওপর ন্যস্ত ছিল। ওই সময় রাজধানীর মোট ড্রেনেজ লাইনের মধ্যে ৩৮৫ কিলোমিটার ঢাকা ওয়াসার অধীনে ও প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার ঢাকা সিটি করপোরেশনের অধীনে ছিল। এর বাইরে ৭৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ২৬টি খাল ও ১০ কিলোমিটার বক্স কালভার্টের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ছিল ঢাকা ওয়াসার। যে কারণে বর্ষায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলো একে অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে আসছিল। কিন্তু গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের হাতে ছিল। এরপর পৌরসভা এ দায়িত্ব পালন করত। ১৯৮৮ সালে এটি ঢাকা ওয়াসাকে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে আরও ১৭টি খালের দায়িত্ব পাচ্ছে সিটি করপোরেশন। ঢাকা ওয়াসার বাইরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে থাকা রাজধানীর ১৭টি খাল রয়েছে। এই খাল ও জলাশয়গুলো দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের পর খালগুলো দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। পাশাপাশি খালগুলোর শাখা-প্রশাখা, বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা পুরোপুরি শেষ হতে আরও সময় লাগবে বলে দাবি দুই সিটি করপোরেশনের। নির্ধারিত কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা থেকে রাজধানীবাসীকে বহুলাংশে রক্ষা করা যাবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

খালগুলোর দায়িত্ব পাওয়ার পর কেন জলাবদ্ধতা কমছে না এ বিষয়ে সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর ২ জানুয়ারি থেকে জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর, কালুনগরসহ খালগুলোর শাখা-প্রশাখা এবং পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট থেকে আমরা বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোমধ্যে এসব খাল ও বক্স কালভার্ট থেকে ১ লাখ ৩৫০০ টনের বেশি বর্জ্য ও ৬ লাখ ৭৯ হাজার টন পলি অপসারণ করেছি। এছাড়াও ওয়াসার কাছ থেকে বুঝে পাওয়া অচল দুটি পাম্প স্টেশনের তিনটি পাম্প মেশিন সচল করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি তিনটি সচল করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও ওয়াসার কাছ থেকে পাওয়া বন্ধ নর্দমা ও আমাদের উন্মুক্ত নর্দমাগুলো পরিষ্কারের কাজ চলমান। চলতি মাসের মধ্যেই তা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কাজগুলো শেষ হলে রাজধানীর জলাবদ্ধতা অনেকাংশেই কমে যাবে। আগামী ২ বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতাকে একটি সহনীয় মাত্রায় আনতে সক্ষম হবো।

গত ২ জুন এক অনুষ্ঠানে পানিবদ্ধতা প্রসঙ্গে মেয়র তাপস বলেছিলেন, পানিবদ্ধতা নিরসনে আগামী দুই মাস আমাদের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী মাঠে থাকবেন। যেখানেই পানিবদ্ধতা দেখা দেবে সেখানেই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পানিবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি তার নিজস্ব অর্থায়নে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য সাধারণ বৃষ্টিপাত হলে যাতে ঢাকা শহরে পানি না জমে সে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা। এছাড়া ভারী বৃষ্টি হলে যেন তিন ঘণ্টার মধ্যে সব পানি নেমে যেতে পারে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি আমরা।
অন্যদিকে দায়িত্ব নেওয়ায় পর থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতায় থাকা খাল থেকে ১১ হাজার ৬৩৮ টন ভাসমান বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। খালের তলদেশ থেকে অপসারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৮০০ টন কঠিন বর্জ্য। বর্তমানে খালগুলোয় পানি প্রবাহ সচল রয়েছে। পানি প্রবাহ আরও বৃদ্ধির জন্য কাজ চলমান রয়েছে। মোট ২১ হাজার ৮৪৩ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী খাল পরিষ্কারে কাজ করছেন। পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসা থেকে পাওয়া ১৮০ কিলোমিটার স্ট্রর্ম স্যুয়ারেজ ড্রেনের মধ্যে ৯৪.৭১ কিলোমিটার ড্রেন পরিষ্কারের জন্য ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ডিএনসিসি।
ডিএনসিসি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে মগবাজার, মধুবাগ, কারওয়ান বাজার, উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরসহ এয়ারপোর্ট রোড এবং বনানী রেলগেট থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ ও পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া ইব্রাহিমপুর খাল, কল্যাণপুর খাল, আব্দুল্লাহপুর খিজির খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে।

গতকাল এক অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম পানিবদ্ধতার বিষয়ে বলেন, নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিএনসিসি বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। জনগণের সহায়তায় তা অব্যাহত থাকবে। গত ১ জুন ঢাকায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে পানিজট থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা অনুযায়ী।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইয়াঙ্গুন উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং তা আরো অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থায় আজ সকাল পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন