শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্মাণকাজের অগ্রগতি ১৭ শতাংশ

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের অগ্রগতি ১৭ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনালটি নির্মিত হলে বিশ্বের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন টার্মিনাল হিসেবে সুনাম অর্জন করবে।

জানা যায়, টার্মিনালটির নির্মাণ শেষ করার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজের অগ্রগতির লক্ষ্যমাত্রা হলো ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। বাস্তবে অগ্রগতি ১৬ দশমিক ৫, অর্থাৎ প্রায় ১৭ শতাংশ। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ মারাত্নকভাবে ব্যাহত হয়েছে। তবে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ একদিনের জন্য বন্ধ থাকেনি। নির্ধারিত সময়ের আগেই এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরের টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রায় ১৮৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এভিয়েশন ঢাকা কনসোরটিয়াম বা এডিসি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। জাপানের দুটি ও কোরিয়ার একটি কোম্পানির প্রকৌশলীদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। মোট নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে সরকার ৬০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ও জাইকা ১২৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার প্রদান করবে।

গতকাল দুপুর আনুমানিক একটার দিকে মন্ত্রী, বেবিচক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থার্ড টার্মিনাল কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এলে এডিসির প্রকৌশলীরা কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তারা জানান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)-এর অধীনে এ প্রকল্পটির নির্মানকাজ ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল শুরু হয়। পরবর্তী ৪৮ মাস, অর্থাৎ ২০২৪ সালের এপ্রিলে কাজ শেষ হওয়ার কথা।

৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) নির্মাণ করা হচ্ছে। টার্মিনাল ভবন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের। ভবনের ভেতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। তৈরি হবে পৃথক একটি স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে করে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার যেকোনো স্টেশন থেকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দরে ডিপার্চার বা বহির্গমন এলাকায় যাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন