শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজধানীতে দুই শিশুসহ প্রাণ গেল তিনজনের

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২১, ১২:০৮ এএম

রাজধানীর মালিবাগে বজ্রপাতের সময় দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে শিশুদের উদ্ধার করা ব্যক্তি ও পুলিশ কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেননি এই তিনজনের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। কেউ বলছেন বজ্রপাতে, আবার কেউ বলছেন বজ্রপাতের ফলে ছিঁড়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে বৃষ্টির সময় বেলা দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মালিবাগ এলাকার চৌধুরী পাড়ার সোনা মিয়া গলিতে এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার আবুল হোটেলের পেছনে থাকা সাজেদার টিনশেড বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
হাতিরঝিল থানার ওসি আবদুর রশীদ বলেন, বিদ্যুতের পিলারের তারের ওপর বজ্রপাত হয়েছে। এতে তার ছিঁড়ে যায়। পাশে লোহার গেট ছিল। সেখানে একজন বৃদ্ধ ছিলেন এবং দুটি বাচ্চা মেয়ে খেলছিল। তিনজনই মারা গেছেন। নিহতদের নাম সাবিনা ওরফে পাখি (৯), সোমা (১২) এবং আবদুল হক নামের একজন বৃদ্ধ রয়েছেন। ঘটনার পরপরই পাখিকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অন্য দুজনকে নেওয়া হয় ওয়্যারলেস গেটে কমিউনিটি ক্লিনিকে। এ সময় চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আকাশ আহমেদ নামে এক প্রতিবেশী জানান, টিনের চালের ওপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বজ্রপাতের সময়। বাচ্চা দুটি তখন ঘরের বাইরে স্টিলের গেটের সামনে খেলছিল। তখন বাচ্চারা মাটিতে পড়ে গেলে একজন মুরব্বি বাঁচাতে এসেছিলেন। তিনিও তখন মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনার পরই হাবিবুর রহমান নামের একজন প্রতিবেশী দেখতে পান, তিনজনকে স্থানীয় একটি ফার্মেসির সামনে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের সিএনজি অটোরিকশাচালকের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুর রহমান বলেন, বাইরে পানি জমে ছিল। সেখানে বাচ্চা দুটি খেলছিল। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে। বাচ্চাটার শরীরে কোনো দাগ নাই। বলা যাচ্ছে না, কীভাবে মারা গেছে। শিশু দুটির মা পোশাক কারখানায় কাজ করেন আর বাবা রিকশাচালক। ঘটনার সময় কেউই বাসায় ছিলেন না।
নিহত সাবিনার মা কুলসুম বেগম বলেন, গতকাল দুপুরের দিকে বৃষ্টির সময় মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেলের পেছনে একটি বস্তিতে জমে থাকা পানিতে ঘরের বিদ্যুতের সংযোগ এক হয়ে যায়। পরে আমার মেয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এই ঘটনায় আরেকটি শিশু ও আরেক ব্যক্তি তাকে বাঁচাতে গেলে তারাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। মালিবাগ রেলগেটের একটি হাসপাতালে তাদের দুজনকে নেওয়া হয়। আর আমার মেয়েকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে গতকাল সকালে গুলশানে আর কে স্কয়ার প্রপার্টি প্রাইভেট লিমিটেডের একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শাহিন আলম মোল্লা নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের সহকর্মী শামসুল ইসলাম জানান, গুলশানের ১৩ নম্বর বাসার আর কে স্কয়ার প্রপার্টিজের লিমিটেডপর একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় পানির মোটরের সুইচ দিতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। পরে রুমে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, সে ওই এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তিনি বরিশাল ভাসানচরের নুরুল হক মোল্লার ছেলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন