শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

জেলে বসে বেতন-ভাতা তুলছেন শিক্ষক

প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাউফল (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান মহিবুল্লাহ স্ত্রী হত্যার দায়ে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। অথচ তাকে নিয়মিত বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে। অবশ্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিন বলেন, ওই শিক্ষকের সাজা হওয়ার বিষয়টি তারা জানেন না। অপরদিকে মামলার বাদি গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, মামলার রায়ের কপি প্রধান শিক্ষককে সরবরাহ করা হয়েছে। অথচ সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে একজন খুনিকে নিয়মিত বেতনসহ অন্যান্য ভাতাদি দেয়া হচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ মে স্ত্রী হত্যার দায়ে শিক্ষক মহিবুল্লাহকে পটুয়াখালী সেশন জজ আদালতের বিচারিক হাকিম আবুল কাসেম মো. মোস্তফা ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদ- প্রদান করেন। এরপরও ওই শিক্ষককে বরখাস্ত না করে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট রূপালী ব্যাংক সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক কিংবা কর্মচারী কোনো মামলায় কারাভোগ করলে সাময়িক বরখাস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত হলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বরখাস্ত করে আরপিটিশন বোর্ডে পাঠাবেন। মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র সূত্রে আরো জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতে মহিবুল্লাহ তার স্ত্রী শারমিন আক্তার দোলা (২০)-কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বিছানায় ফেলে রাখে। পরদিন ৩০ ডিসেম্বর সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং স্বামী মহিবুল্লাহকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় ওই মাসেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। হত্যার ঘটনায় ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি দোলার বাবা গোলাম মোস্তফা বাদি হয়ে পটুয়াখালী আদালতে মহিবুল্লাহ ও তার পিতা নূর মোহম্মদ এবং ভগ্নিপতি মো. আবুল বশার মুন্সিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে লাশের ময়নাতদন্তে শ^াসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল হোসেন তদন্ত করে ২০১৪ সালের ১০ জুন এজাহারে উল্লেখ তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ১২ জনের সাক্ষী নেয়ার পর গত ১২ মে আদালত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস ও প্রধান আসামি মহিবুল্লাহকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদ- দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন