৬ মামলায় ৩ দিন করে মামুনুল হকের ১৮ দিনের রিমান্ডে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম। তিনি জানান, তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর এসব বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মামুনুল হকের রিমান্ড ইস্যুতে গতকাল বিকালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম বলেন, ২৮ মার্চ দেশব্যাপী কথিত হরতালের নামে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত নাশকতার ঘটনা ঘটে। এর আগে ২৫ মার্চ মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জে আসেন। তার উস্কানিমূলক বক্তব্য নাশকতায় সাহস যুগিয়েছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকারও করেছেন। এছাড়া সহিংসতার ৩ দিন পর ৩১ মার্চও তিনি নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম আরও বলেন, ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে ঝর্ণা নামের একজন নারীসহ স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়ার ঘটনায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করলে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই নারী সোনারগাঁ থানায় এসে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদে বিয়ের কোন বৈধ কাগজপত্র বা তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি। শরীয়ত মোতাবেক বা দেশের আইনি কাঠামো অনুসারে বিয়ের কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।
তিনি বলেন, ১৮ দিন রিমান্ডে থাকা হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা বিভাগের মহাসচিব মামুনুল হক পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এসব কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে টাকা আসতো বলেও আমরা তথ্য পেয়েছি। বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার প্রাথমিক তথ্য আমরা পেয়েছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে সে পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন বা আত্মসাৎ করেছেন বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই এর পুলিশ সুপার মনিরুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‹এ› সার্কেল) মো. মেহেদী ইমরান সিদ্দিকীসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন