শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পরিবেশ ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন করা জরুরি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২১, ৭:৪৩ পিএম

সারাদেশ থেকে শতাধিক পরিবেশকর্মীরা অংশগ্রহণে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে অনলাইনের মাধ্যমে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের উদ্যোগে ‘পরিবেশ ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে আমাদের করনীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক সোমবার (৭ জুন) আয়োজন করা হয়। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন’ (বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার)। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ এর সভাপত্বিতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হেলথ বিজের আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন। গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান।

দেবরা ইফরইমসন তার প্রবন্ধে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পরিবেশের অবস্থা খুবই খারাপ। সারা বিশ্বই পরিবেশ দূষন হচ্ছে। অনেক পানি খরচ করে, বেশি মাছ ধরে, প্লাস্টিক পণ্য বেশি ব্যবহার করে পরিবেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। পরিবেশ হচ্ছে স্বাস্থ্যের একটি উপাদান। স্বাস্থ্য রক্ষায় সংক্রমণ রোগ নিয়ে যেই রকম কাজ করা হয়, অসংক্রামক রোগ নিয়ে তেমন কাজ করা হয় না। অসংক্রামক রোগের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে তামাক। এ ছাড়াও আর ও অন্যান্য বিষয় আছে। বিশ্বে বায়ু দূষণের কারণে অনেক মানুষ মারা যায়। এই বিষয়গুলি নজরদারী করে স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য বিশ্বে অনেক দেশেই হেলথ প্রোমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশে একটি হেলথ প্রোমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

স্কোপের নির্বাহী পরিচালক কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, এই বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী পরিবেশকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে হবে। সরকার বলে গ্রাম হবে শহর। নগরে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে। তখন আমরা সিটি কর্পোরেশনের দোষ দেই। কিন্তু আমাদের কারণে যে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তা আমারা ভুলে যাই। সিটি কর্পোরেশন কে আমরা টাকা দেই কিন্তু সেই অনুযায়ী সেবা পাই না। আগে গ্রামে পুকুর থাকতো, এখন নাই। প্রাণী জগতে একটা প্রাণীর সাথে আরেকটি প্রাণীর সংযোগ থাকে, এটাই ইকো সিস্টেম। বৃক্ষের সাথে যে পাখির সম্পর্ক আছে, এটা সবার সামগ্রিক চিন্তাকে মাথায় রেখে উন্নয়ন করতে হবে।

প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য থাকছে না নতুন দুর্যোগের কারণে। সেটা হলো বজ্রপাত। বাংলাদেশে বজ্রপাতে যে পরিমাণ মানুষ বজ্রপাতে যারা যাচ্ছে অন্যান্য দেশের তুলনায় এটা এখন নতুন দুর্যোগ আমাদের জন্য। এই কারণে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। পাহাড়ের মত উঁচু উঁচু জায়গায় বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বেশি বেশি পুকুর ভরাট করা বন্ধ করতে হবে, পাহাড় কাটাকে রোধ করতে হবে।

সাফ এর নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাক বলেন,বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে অনেক দেশে বিদ্যুৎ তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের দেশে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন। এতে কিছুটা হলেও পরিবেশ দূষন রোধ করা যাবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন