বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু বলেছেন ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তি সনদ ৬-দফা ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছয় দফার মাধ্যমে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার বীজ বপন করেন বঙ্গবন্ধু। ছয়দফার প্রতি মানুষের সমর্থন আদায় জন্য জনসভা শুরু করেন। যে জেলায় জনসভা করতেন সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হত, গ্রেফতার করা হত। এ সময় তাকে মাত্র দুই মাসে ৮ বার গ্রেফতার করা হয়। সমগ্র বাংলাদেশ থেকে ছাত্রনেতা, শ্রমিক নেতাসহ অগণিত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করে। বঙ্গবন্ধু সহ নেতাকর্মীদের মুক্তির আন্দোলন তখন গণদাবীতে পরিণত হলে আইয়ুব--মুনাইম গং নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে শ্রমিকসহ ১১জন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তীব্র গণআন্দোলনের মুখে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে ও বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য করে বাংলার জনগণ। সত্তরের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। অসহযোগ আন্দোলন থেকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি।
তিনি সোমবার বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ এর উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসের কর্মসূচি উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট আমানুল্লাহ, প্রদীপ কুমার রায়, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শিরিন আনোয়ার জর্জিস, দপ্তর সম্পাদক আল-রাজী জুয়েল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাসরিন রহমান সীমা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি হিরো, শিক্ষা মানব সম্পদ সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ রুবন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলমগীর হোসেন স্বপন, রুমানা আজিজ রিংকি, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজিদুর রহমান শাহিন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু প্রমুখ ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন