স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্যকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্যের কারণে এক স্কুলছাত্রকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদ- দেয়ার ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ওসিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয় গঠিত বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দিয়ে ওই স্কুলছাত্রকে জামিন দেন। নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া টাঙ্গাইলের ওই ছাত্রকে কারাদ- দেয়ার ঘটনায় একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের নজরে আনলে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
টাঙ্গাইলের ওই কর্মকর্তা হলেনÑ সখীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং সখীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম।
গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে বলা হয়, টাঙ্গাইল-৮ বাসাইল-সখীপুর আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয় গত শুক্রবার রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখানে বলা হয়, ফেসবুকে একটি আইডি থেকে সংসদ সদস্যকে হুমকি দেয়া হয়েছে। সংসদ সদস্যর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার প্রতিমা বঙ্কি এলাকা থেকে ওই স্কুলছাত্রকে আটক করে। পরে রোববার তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তাকে দুই বছরের কারাদ- দেন। কারাদ-ের আদেশের পর সোমবার সকালে ওই কিশোরকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন সখীপুরের ওসি মাকসুদুল আলম।
আদালতের আদেশের পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দুই কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে কারাদ-ের বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে হবে। কারাদ- পাওয়া ওই স্কুলছাত্রকে আদালত জামিন দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
খুরশীদ আলম খান বলেন, “আমি আদালতকে বলেছি, ওই ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে, বিষয়টি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। তদন্তের পর্যায়ে থাকা কোনো বিষয়ে এভাবে মোবাইল কোর্টে দ- দেয়া যায় না। আর আসামি যদি শিশু হয়, তাকে শিশু আইনে বিচার করতে হত। সেটাও দেখতে হবে।”
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন