শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

এশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বিল সংসদে

প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার ঃ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাংকের লক্ষ্য অর্জনে গৃহীত কার্যক্রমে আইনগত দায়মুক্তির বিধান রেখে এশিয়ার ৫৭ দেশের অংশীদারিত্বমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক আইন ২০১৬’ গতকাল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। এই ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের মোট শেয়ারের পরিমাণ ৬ হাজার ৬০৫টি (প্রতিটি ১ লক্ষ মার্কিন ডলার মূল্যমান) এবং চাঁদার পরিমাণ ৬৬০ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার ২০ শতাংশ পেইড ইন হিসাবে বাংলাদেশের প্রদেয় চাঁদার পরিমাণ ১৩২ দশমিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১০৫৬ দশমিক ৮০ কোটি টাকা)। যা ১০ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।
গতকাল সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি উত্থাপনের জন্য সংবিধানের ৮২ অনচ্ছেদ মোতাবেক রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। অধিকতর পরীক্ষা নিরক্ষার জন্য বিলটি অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগতা দেশ চীন। বাংলাদেশ গত বছরের ২৯ জুন এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় একটি আর্টিকেল অব এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে। গত ২৫ ডিসেম্বর সে চুক্তি কার্যকর হয়। সে চুক্তি মোতবেক আইনটি সংসদে উত্থাপন করা হয়।
বিলে বলা হয়, চুক্তির আর্টিকেল ৫ ও ৬-এর অধীন বাংলাদেশের পক্ষে প্রদেয় সমুদয় অর্থ সংযুক্ত তহবিল হতে প্রদত্ত হবে এবং প্রাপ্ত অর্থও সংযুক্ত তহবিলে জমা হবে। ব্যাংকের আমানতদার হবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনে চুক্তিতে বিধৃত চ্যাপ্টার ৯-এর বিধানাবলী আইনের সংযোজিত তফসিল হিসেবে বাংলাদেশের আইনের মর্যাদা সম্পন্ন হবে। তবে চুক্তির আর্টিকেল ৫১ অনুসারে সরকার চুক্তির সংশোধনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংযোজিত তফসিল সংশোধন করতে পারবে। এছাড়া ব্যাংক কোন পণ্য শুল্কমুক্তভাবে আমদানী করলে তা বিক্রি করা হলে বিক্রয় শুল্ক দিতে হবে। চুক্তির আর্টিকেল ৪৬-এ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়া থেকে দায়মুক্তির বিধান রাখা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এশিয়ার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ‘এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এআইআইবি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদেশ ৫৭টি। এই ব্যাংকের উদ্দেশ্যে হচ্ছে প্রধানত অবকাঠামো এবং অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এশিয়ার টেকসই উন্নয়ন, সম্পদ সৃষ্টি এবং যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে উৎসাহিত করা। আইবিআরডি (বিশ্ব ব্যাংক) অথবা এডিবির সদস্যভুক্ত দেশের জন্য এই ব্যাংকের সদস্যপদ উন্মুক্ত। এই ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পেইড ইন শেয়ার ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং কল-অ্যাবল শেয়ার ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চুক্তির শিডিউল অনুযায়ী ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদিত মূলধনের মধ্যে ৭৫ বিলিয়ন আঞ্চলিক দেশসমূহের জন্য এবং ২৫ বিলিয়ন আঞ্চলিক ব্যতীত দেশসমূহের জন্য বরাদ্দ।
আর্টিকেল অব এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী চুক্তির ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুসমর্থন করতে হবে এবং তদনুযায়ী ব্যাংকের সদস্য হওয়া যাবে। ব্যাংকের সদস্য হওয়ার প্রেক্ষিতে বেশ কিছু দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশের উপর বর্তাবে এবং চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। এ প্রেক্ষিতে ইতোপূর্বে প্রণীত আইনসমূহের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ‘এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক আইন, ২০১৬’ প্রণয়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া গতকাল জাতীয় সংসদে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আইন ২০১৬’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ আইন ২০১৬’ সংসদে উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন