শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত

১৭৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

ব্যবসায়ী, ব্যাংকারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থার উপ-সহকারি পরিচালক আবুল কালাম আজাদ গতকাল বুধবার তদন্ত শুরু করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার ১৭৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকে একটি মামলা দায়ের হয়। এতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশন’র মালিক এরশাদ আলীকে এক নম্বর আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন- এবি ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ চৌধুরী, মশিউর রহমান, ব্যাংকটির কাকরাইল শাখার তৎকালীন ম্যানাজার ও ইভিপি এ বি এম আব্দুস সাত্তার, সাবেক এভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আব্দুর রহিম, এসভিপি ও সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার আনিসুর রহমান, ভিপি শহীদুল ইসলাম, এভিপি রূহুল আমীন, ইভিপি ও হেড অব সিআরএন ওয়াসিকা আফরোজী, সাবেক ইভিপি ও বর্তমান ভিপি মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এসইভিপি সালমা আক্তার, এভিপি মোহাম্মদ এমারত হোসেন ফকির, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, এসভিপি শামীম এ মোরশেদ, ভিপি খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি সিরাজুল ইসলাম এবং তৎকালীন ভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মাহফুজ উল ইসলাম। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা যোগসাজশে বিশ্বাস ভঙ্গ করে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে ৩৬টি জাল ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা এবং ৭টি অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদানের মাধ্যমে আরও ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ প্রজেক্ট অফিসের ঠিকাদার সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির নাম করে ৬টি ভুয়া ও জাল ওয়ার্ক অর্ডার প্রস্তুত করে এবি ব্যাংকের কাকরাইল শাখায় ১৬৬ কোটি টাকা ঋণের আবেদন করে এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী। ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার যাচাই-বাছাই ছাড়াই এবি ব্যাংকের কাকরাইল শাখার কর্মকর্তারা ঋণ দেয়ার সুপারিশ করে ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট শাখায় পাঠায়। তারাও বিষয়টি যাচাই-বাছাই না করে ক্রেডিট কমিটির কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠায়। ক্রেডিট কমিটির কর্মকর্তারাও আর্থিক সুবিধা নিয়ে রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই না করেই ঋণ অনুমোদন দেয়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ অর্থ আত্মসাত হয়। মামলায় দন্ডবিধির ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন