টুইটারে মুসলিম মহিলাদের নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে যোগীরাজ্য খ্যাত উত্তর প্রদেশের পুলিশ কর্ণি সেনা নেতা ঠাকুর শেখর চৌহানকে গ্রেফতার করেছে।
মাসুরি থানার এসএইচও জানিয়েছেন, চৌহানের বিরুদ্ধে ১৫৩-এ, ৫০৪, ৫০৫-এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। চৌহানকে বুধবার গ্রেফতার করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয় রাতে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিডিওতে চৌহান বলছেন, ‘করণি সেনার প্রধান সুরজ পাল আমু আমাদের এখানে (দাসনা দেবী মন্দির) প্রেরণ করেছেন যার কারণে আমরা এখানে এসেছি এবং সে অনুযায়ী চলে যাব। যদি কেউ হিন্দু স¤প্রদায় বা আমাদের গুরুজি থেকে এমনকি একটি স্ক্র্যাচও পায় তবে আমরা অনাগত বাচ্চাদের মহিলাদের (মুসলিম) গর্ভ থেকে বের করে আনব এবং তাদের হত্যা করব’।
ঘন্টাখানেক পর পুলিশ ভিডিওটি নথিভুক্ত করে এবং বুধবার দিনশেষে তারা বলেছিল, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা একটি ভিডিওতে একজন যুবকের আপত্তিকর মন্তব্য সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ ঘটনার সাথে থান মসুরিতে বিধি মোতাবেক একটি মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার অভিযুক্ত ব্যক্তি শেখর চৌহানকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে’।
কর্ণি সেনা ও চৌহানও বারবার খবরে আসা হিন্দুত্ববাদী নেতা ইয়তি নরসিংহানন্দ সরস্বতীর সমর্থক। তিনি দিল্লির একটি সাঁই বাবার মূর্তি ভাংচুর করায় এক ব্যক্তিকে অভিনন্দন জানান, নবী মুহাম্মদ (স.)-এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন এবং তার শিষ্যরা দাসনা দেবী মন্দিরে পানি পান করতে প্রবেশ করায় একটি মুসলিম বালককে মারধর করেছিলেন। সূত্র : দ্য কুইন্ট, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন