শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খুলনায় করোনা উর্ধ্বমুখী তবু কঠোরতা প্রত্যাহার করে নিল প্রশাসন

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২১, ২:৩২ পিএম

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে খুলনা জেলা প্রশাসনের ঘোষণায় বলা হয়েছে, রোববার থেকে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সকল দোকানপাট খোলা থাকবে। লাইসেন্সধারী ৫০ শতাংশ ইজিবাইক খুলনায় চলাচল করবে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে করোনার শয্যা সংখ্যা বাড়ানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অনুরোধ জানানো হবে।

শুক্রবার বেলা ১১ টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন।

খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৯১ জন। জুন মাসের গত ১০ দিনে ৮৬৪ জন আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৮ জুন সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৫১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শনাক্ত হয়েছে ১৫৬ জন। এটা এ মাসের সর্বোচ্চ। খুলনা করোনা হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তির মত অবস্থা নেই। এ অবস্থায় কঠোরতা চলমান না রেখে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত করোনা পরিস্থিতিকে আরো ভয়ংকর করে তুলবে বলে আশংকা সাধারণ মানুষের।

আজকের সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুদার আব্দুল খালেকের বক্তব্যেও এমন আশংকা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, খুলনা বিভাগের অবস্থা খারাপ। সাতদিনের যে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল তাতে তেমন কোন উন্নতি হয়নি। খুলনার বিষয়ে কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। খুলনার বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, এক প্রান্ত খোলা রেখে অন্য প্রান্ত বন্ধ রেখে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেলে কেউ রেহাই পাব না।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মাদ ইসমাঈল হোসেন ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, সাতক্ষীরার প্রভাব খুলনায় এসে পৌঁছেছে। আম এবং বন্দরের মালামাল আনা নেওযায় সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। এখানে সংক্রমণ ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। যশোরে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। সেখানে বিধিনিষেধ চলছে। বাগেরহাটের মোংলায়ও বিধিনিষেধ চলছে।

গত ৩ জুন থেকে ৭ দিনের জন্য খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও জেলার রূপসা থানায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়।

করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসিইউ থেকে শুরু করে এইচডিইউ এমনকি সাধারণ শয্যা কোথাও ফাঁকা নেই। ১শ’ শয্যার হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ১৩০ জন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন