বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা ভয়াবহতার জন্য সরকার দায়ী: বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২১, ৪:৪২ পিএম

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রামণের ভয়াবহ অবস্থার জন্য সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তা’কে দায়ী করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় যে করোনা ছড়াবে বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছেন। আমরা চিৎকার করে বলেছি। কোথাও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

শুক্রবার (১১ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ঠাকুগাঁও জেলার হাসপাতালে কোনো আইসিইউই নাই, অক্সিজেন নাই। আজকেও পত্রিকায় ছবি বেরিয়েছে রাজশাহীতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে সবাই হাঁসফাঁস হাঁসফাঁস করছে।

ভারতে, পশ্চিম বাংলায় এগুলো হচ্ছে- এই অবস্থা তো আমরা দেখেছি। তারপরেও স্মভিত ফিরে পায় না। ইউ আর প্রোটেক্টিং দোউস পিপলল।

ওই চোরগুলোকে, ডাকাতগুলোকে আমরা প্রোটেক্ট করতেছি- দি ইজ ভ্যারি আনফরচুনেট।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন বাংলাদেশের মানুষের দাঁড়াবারও কোথাও জায়গা নেই। একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোথাও গিয়ে যে আশ্রয় পাবে, একটি রিলিফ পাবে-কোথাও জায়গা নেই।
আগে আমরা সবাই মনে করতাম যে, আদালত বোধ হয় আমাদের সেই জায়গা। যে জায়গা গে্লে আমরা আশ্রয় পাবো, প্রতিকার পাবো, রিলিফ পাবো।

এরকম বিভিন্নভাবে সেই রিলিফটা প্রথম দিকে আমরাও পেয়েছি। এখন দেখছি এটা শূণ্য অবস্থায় চলে গেছে।

রাষ্ট্র যখন নিপীড়নকারী হয়ে যায়, রাষ্ট্র যখন নির্যাতনকারী হয়ে যায়, রাষ্ট্র যখন আপনাকে ডিনাই করে আপনার লাইফগুলো থেকে এবংকি ন্যায় বিচার থেকে তখন আপনার যাওয়ার জায়গাটা কোথায় থাকে।

আমরা এই কথাটা বলছি যে, সুপরিকিল্পভাবে, সুচিন্তিতভাবে বাংলাদেশকে একটা অকার্য্কর রাষ্ট্রের পরিণত করা হচ্ছে।

এখানে কোনো সুশাসন থাকবেনা, এখানে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না, আমাদের সংবিধানে যেসমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না্। ওদিকে নিয়ে চলেছে রাষ্ট্রকে আজকে যারা ক্ষমতায় আছে তারা।

তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। আজকে আইনের শাসনের কথা বলে আইনকে পুরোপুরিভাবে ধবংস করা হচ্ছে।

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকায় আসাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, আপনারা বেশিরভাগই এটাকে বলেছেন হেফাজতের তান্ডব। আমি এই শব্দটার সাথে একেবারেই একমত নই।
তান্ডব তো করেছে সরকার। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে তারা এই তান্ডবটা করেছে এবং নাম দিয়েছে হেফাজতের তান্ডব।

দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তার ব্যাপারে হঠাৎ করে একটা মিথ্যা অভিও ক্লিফ ছাড়া হয়েছে।

আপনারা ভালো করেই জানেন যেকোনো জিনিস তৈরি করা কোনো কঠিন কাজ না। সেটা তারা(সরকার) করে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করা হলো। তারপর রিমান্ডে নিয়ে গেলো।

সেই রিমান্ড আর শেষ হয় না, ১০দিন, ৫দিন, ৭দিন রিমান্ড। আবার তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

একজন মহিলা, অ্যাডভোকেট, রাজনীতিবিদ, কাম ফ্রম ভেরি গুড ফ্যামিলী, সোশ্যাল স্ট্যাটাস যেকোনো মানুষের চাইতে উপরে তাকে গত তিন মাস যাবত কারাগার থানা বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে চরম হয়রানি করা হচ্ছে।

পরিকল্পিতভাবে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে তার একমাত কারণ। ওর অপরাধ হচ্ছে ও মহিলা।

তুমি এতো অ্যাকটিভ কেনো? তুমি হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে তুমি এতো কথা বলো কেনো আমাদের বিরুদ্ধে?

কারাবন্দি দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীরও প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আসলাম চৌধুরী কী অপরাধ? যেটা দেখতে পাই ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করে নাই। তাই বলে তাকে আজকে ৫ বছর জেলে রাখা হয়েছে। বিচার তো হচ্ছে, বিচার হবে।
আর ওই যে আপনাদের যে এডভাইজার যিনি করোনা নিয়েও আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করলেন, যার হাজার হাজার কোটি টাকা লোন হয়ে আছে একটা দিনের জন্যও গ্রেপ্তার করলেন না। উপরন্তু তাকে পুরস্কার দিয়েছেন সরকারি গাড়ি-বাড়ি ব্যবহার করে।”

দলের চেয়ারপারসনখালেদা জিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আসলাম চৌধুরী, নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলের নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নিপুণ রায় চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারও বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ উদ্দিন নসু, তাইফুল ইসলাম টিপু, শেখ রবিউল আলম, শায়রুল কবির খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন