শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

প্রতারক প্রদীপ শ্রীঘরে, রেহেনা পলাতক, প্রকাশ্যে জহির, স্বপন

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২১, ৬:৩০ পিএম

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত-সমালোচিত প্রদীপ-রেহেনা-জহির-স্বপন প্রতারক চক্র। অপরাধ জগতের সব শাখাতেই প্রতাপের সঙ্গে বিচরণ করছে তারা দীর্ঘদিন ধরেই। ভুয়া মানবাধিকার সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি, ব্লাকমেইলিং, ভূমিদস্যুতা, অর্থ আত্মসাৎ, দেহব্যবসা, মাদকের ব্যবসাসহ অজস্র অভিযোগ এই কুখ্যাত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে র‌্যাব প্রতারক প্রদীপ চন্দ্র বর্মণকে গ্রেফতার করেছে। আর এরপর থেকে পলাতক আছে চক্রের অন্যতম মূল হোতা, দেহ ব্যবসায়ী, মাদক কারবারি, ভুয়া সাংবাদিক ও ভূঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনের নেত্রী, কুখ্যাত প্রতারক, চাঁদাবাজ ফেরদৌসী আক্তার রেহেনা। তবে তারই প্রধান দুই সহযোগী কুখ্যাত প্রতারক, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ জহির ও লুৎফর রহমান স্বপন ওরফে এল আর স্বপন প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের মধ্যে জহির রেহেনার বয়ফ্রেন্ড হিসেবে পরিচিত৷ স্বপনের সাথেও মাদক সম্রাজ্ঞী রেহেনার রয়েছে রহস্যজনক সম্পর্ক ।

একাধিক সূত্রমতে, প্রদীপ-রেহেনা-জহির-স্বপন চক্র প্রদীপ গ্রেফতারের পরে বেশ বেকায়দায় রয়েছে। একে একে উঠে আসতে শুরু করেছে তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অসংখ্য কাহিনী। এরইমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই প্রতারক চক্রের দ্বারা প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগীরা প্রমাণসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিযোগ জমা দিয়েছে৷ আর তা আঁচ করতে পেরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে দুর্ধর্ষ প্রতারক রেহেনা। নারী দিয়ে ব্লাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে রেহানা দু হাতে কামিয়েছে লাখ লাখ টাকা।নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র মতে, প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ীকে নারী দিয়ে ব্লাকমেইলিং করে রেহানা তার সহযোগীদের মাধ্যমে ঐ ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে নগদ পাঁচ লক্ষাধিক টাকা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাউন্সিলর খোরশেদ ইস্যুতে ফেসবুক লাইভে এসে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে ইতোমধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলার আসামী হয়েছেন রেহেনা৷ আর এরপরে প্রদীপের গ্রেফতার তাকে আরো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার আসল চরিত্র উন্মোচিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে করে গ্রেফতার এড়াতে ও লোকলজ্জার ভয়ে পালিয়েছে রেহেনা। তবে পালিয়ে থেকেও গণমাধ্যমকর্মী ও সচেতন নাগরিকদের রুটিন করে হুমকি দিচ্ছে রেহেনা। ফেইক আইডি ব্যবহার করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করছে সে, যা হতবাক করেছে সবাইকে। একজন নারীর ভাষা কীভাবে এমন হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

সূত্রমতে, নিজেকে নির্দোষ হিসেবে জাহির করতে রেহেনার বিভিন্ন কুকীর্তি ফাঁস করছে মহাপ্রতারক জহির। ফতুল্লার শিয়াচরের চিহ্নিত এই টাউট প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় রেহেনার নানান অপকর্মের প্রমাণ হাজির করছে নিজেকে রক্ষা করতে। জহিরের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অসংখ্য অভিযোগ থাকার পরেও সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছ
একই হাল প্রদীপের ভুয়া মানবাধিকার সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান এলআর স্বপনের। প্রতারক চক্রের একজন হয়েও গ্রেফতার এড়াতে সক্ষম হচ্ছে চিহ্নিত এই ভূমিদস্যু৷ শুধু তাই নয়, প্রদীপ কেলেঙ্কারির পরে নিজেকে সেইফ জোনে রাখতে একদম চুপ হয়ে গেছেন স্বপন। অথচ প্রদীপ-রেহেনা-জহিরের সাথে তার অতি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অসংখ্য প্রমাণ গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে রয়েছে।

এতোকিছুর পরেও এই কুখ্যাত প্রতারক চক্রের বাকি তিন হোতা গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশ ভুক্তভোগীরা। তারা বলছেন, এই চক্রকে উচ্ছেদ ও যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হলে তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় নিতে হবে৷

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন