সাতক্ষীরায় বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সরকারি -বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রকট হয়ে উঠেছে চিকিৎসক ও সেবিকা সংকট। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হয়েছেন ১১১ জন। যা শতকরা ৫২.৬০ ভাগ। করোনা সংক্রমণ এখন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় করোনার উপসর্গের ছড়াছড়ি। মারাও যাচ্ছেন অনেকে।
সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুইজন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। করোনায় এপর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ৫৭ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২৫০ জন।
এদিকে, সরকারি হিসেবে জেলায় এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২,২৫৬ জন। এরমধ্যে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৬৪৭ জন। অন্যরা সুস্থ্য হয়েছেন।
সদরের দুটি সরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৯ জন। শয্যা সংকট না থাকলেও জনবল সংকট রয়েছে ব্যাপক। সীমিত জনবলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা। ইতোমধ্যে শহরের কয়েকটি বে-সরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা এখন আর রোগী ভর্তি নিচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার অপর্ণা রাণী পাল জানান, জেলায় করোনা রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সীমিত জনবলে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। ১৬৫ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও আছে ১৫০ জন। বর্তমানে ডিউটি করছেন ৯৫ জন। তাদের মধ্যে ৯ জন করোনা পজিটিভ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অচিরেই নার্স নিয়োগ না দিলে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ কুদরত-ই-খুদা বলেন, ৫৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন ৩১ জন। তার মধ্যে অনেকেই আছেন অসুস্থ্য। জরুরি হয়ে পড়েছে চিকিৎসক নিয়োগ।
সাতক্ষীরায় প্রথম দফা লকডাউনের মেয়াদ শুক্রবার শেষ হয়েছে। এ মেয়াদ আরো ৭ দিন বৃদ্ধি করে আগামী ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন